হাতে বুলডোজার ট্যাটু এঁকে উত্তরপ্রদেশে যোগীর জয় জয়োজ্জাপন
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর ব্যাপক জয়ের পর, বারাণসীতে সমর্থকরা এই জয় উদযাপন করার একটি অনন্য উপায় খুঁজে পেয়েছে- তারা হাতে এখন 'বুলডোজার' ট্যাটু করাচ্ছে। কিছু সমর্থক 'বুলডোজার বাবা' ট্যাটুও খেলাচ্ছেন। বারাণসী অসি ঘাটের কাছে ট্যাটুর দোকানগুলিতে, অনেক লোককে এমন ট্যাটু করতে দেখা গিয়েছে।
সাম্প্রতিক নির্বাচনের সময়, যোগী আদিত্যনাথকে "বুলডোজার বাবা" বলা হয় কারণ তার সরকার রাজ্যে অপরাধী এবং মাফিয়াদের অবৈধ অর্জিত সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন বলে নত তার সমর্থকদের। তাই তার এই নাম দেওয়া হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা তাকে "বাবা মুখ্যমন্ত্রী" বলে ডাকতাম কিন্তু আজ একটি নামকরা ইংরেজি সংবাদপত্র তাকে 'বাবা বুলডোজার' বলে ডাকে। আমি এই নাম রাখিনি, এই নামটি রেখেছে একটি নামকরা ইংরেজি সংবাদপত্র।"
এদিকে
উত্তরপ্রদেশে
বিজেপি
জয়ের
পেছনে
বড়
ভূমিকা
পালন
করেছে
এ
রাজ্যের
মহিলা
ভোটাররা।
এই
পরাম্পরাগত
'নীরব
ভোটার',
যাঁরা
ধারাবাহিকভাবে
নির্ধারণ
করেছে
তামিলনাড়ু,
বিহার,
পশ্চিমবঙ্গ
ও
অন্ধ্রপ্রদেশের
নির্বাচনের
ভবিষ্যত,
তাঁরাই
ফের
উত্তরপ্রদেশের
ভবিষ্যত
নির্ধারন
করল
২০২২
সালের
বিধানসভা
নির্বাচনেও।
এ
রাজ্যে
৪০
শতাংশ
মহিলার
ভোটই
বিজেপির
ঐতিহাসিক
জয়ের
অন্যতম
কারণ
এবং
যার
জন্য
মুখ্যমন্ত্রী
যোগী
আদিত্যনাথ
দ্বিতীয়বারের
জন্য
রাজ্যের
মসনদে
বসলেন।
মহিলাদের
'স্বাধীন
ভোটার'
হিসাবে
উত্থান,
যাঁদের
যোগদান
বেড়েছে
প্রত্যেকটি
নির্বাচনে।
মহিলারা
বুঝিয়ে
দিয়েছেন
তাঁরা
বাধ্য
নন
অন্যের
পছন্দের
রাজনৈতিক
দলকে
বেছে
নিতে,
কারণ
তাঁদেরও
রয়েছে
নিজস্ব
মত,
পছন্দ।
উত্তরপ্রদেশ
ও
অতীতের
বহু
রাজ্যের
নির্বাচনে
মহিলাদের
এই
ভূমিকা
প্রমাণ
করেছে
যে
সামাজিক
পরিবর্তন
প্রয়োজন,
যেখানে
মহিলারা
আর
পিতৃতান্ত্রিক
সমাজের
পছন্দের
রাজনৈতিক
দলকে
তাঁদের
পছন্দ
হিসাবে
বেছে
নিতে
বাধ্য
নন।
উত্তরপ্রদেশে
৫৯.৬
শতাংশ
পুরুষ
ভোটারদের
তুলনায়
মহিলা
ভোট
পড়েছে
৬২.২
শতাংশ।
বিজেপির
বিনামূল্যে
রেশন
প্রকল্প,
আইন-শৃঙ্খলার
উন্নতি
মহিলাদের
এই
দলের
পক্ষে
ভোট
দেওয়াকে
উস্কে
দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার
উত্তরপ্রদেশে
বিজেপির
জয়ের
পর
গ্রামের
পর
গ্রামে
দেখা
গিয়েছে,
মহিলারা
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
ও
মুখ্যমন্ত্রী
যোগীর
ছবি
দিয়ে
প্লাস্টার
করা
রেশন
ব্যাগ
নিয়ে
পোজ
করে
ছবি
তুলছেন।
প্রসঙ্গত,
কোভিড-১৯-এর
কারণে
দেশজুড়ে
লকডাউনের
সময়
শত
শত
পরিযায়ী
শ্রমিক
রাজ্যে
ফিরে
এসেছিলেন,
সেই
সময়
কেন্দ্র
বিনামূল্যে
রেশন,
এর
সঙ্গে
যোগী
আদিত্যনাথের
রেশনের
প্রকল্প,
'দ্বিগুণ
ডোজ'-এর
কাজ
করেছিল
এবং
সেই
সময়
মহিলারা
বিজেপি
সরকারকে
ধন্যবাদ
জানিয়েছিলেন
তাঁদের
পরিবারকে
বাঁচিয়ে
রাখার
জন্য।
আর
এটাই
এ
বছরের
নির্বাচনে
উত্তরপ্রদেশে
বিজেপির
মহিলা
ভোট
পাওয়ার
সবচেয়ে
বড়
হাতিয়ার
ছিল।
তবে
মহামারির
আগে
থেকেই
মহিলা
ভোটাররা
রাজনৈতিক
দলগুলির
নজরে
ছিল।
বিজেপি
মহিলাদের
ক্ষতচিহ্নে
রেশন,
শৌচালয়
(সম্মানের
ঘর)
এবং
রান্নার
গ্যাস
(উজ্জ্বলা)-এর
মাধ্যমে
মলম
লাগিয়েছে।গত
বছর
তামিলনাড়ুর
নির্বাচনের
সময়
ডিএমকে
ও
এআইডিএমকে
মাসিক
আর্থিক
সহায়তা,
মাতৃত্বকালীন
ছুটি
ও
সৌরশক্তিতে
পরিচালিত
স্টোভ
দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি
দেয়।
একইভাবে
বিহারেও
নীতিশ
কুমারের
নীতিও
মহিলাদের
তাঁর
পক্ষে
ভোট
দিতে
সহায়তা
করেছে।
এতে
অবাক
হওয়ার
কারণ
নেই
যে
উত্তরাখণ্ড,
মণিপুর
ও
গোয়াতেও
জয়ের
মিছিলের
জন্য
মহিলাদের
কৃতিত্ব
দেওয়া
হচ্ছে।