নিষিদ্ধ সংগঠনকে সমর্থন করা নিয়ে বিরোধীদের তোপ যোগী আদিত্যানাথের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিরোধ ও বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অনেকের মধ্যেই এখনও অশন্তোষ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হিংসার আগুনে ঘী ঢালার জন্যে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কংগ্রেস, এসপি ও বিএসপিকে।
আজ সরাসরি নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া ও পিএফআই-কে সমর্থন করার অভিযোগ এনে বিরোধীদের তোপ দাগেন আদিত্যনাথ। তিনি বারাণসীর এক জনসভা থেকে আজ বলেন, 'কংগ্রেস, এসপি ও বিএসপি সহ অন্যান্য বিরোধীদের বলতে হবে যে সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া ও পিএফআই-এর সঙ্গে তাদের কী যোগ রয়েছে! তাদের এই নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির প্রতি সমর্থন কেন? যারা দেশ বিরোধী স্লোগান তোলে তাদের সমর্থন করে এই বিরোধী দলগুলি। এর থকেই বিরোধীদের চরিত্র বিশ্লেষণ করা যায়।'
প্রসঙ্গত এর আগে ভারদোই, মেরাট, কানপুর, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের নামে হিংসার ঘটনা ঘটে। একের পর হিংসার ছবি উঠে আসে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস ও সরকারী সম্পত্তি। সরকারি মতে, উত্তরপ্রদেশে একের পর এক হিংসায় ২০ টি মটরসাইকেল, ১০ টি গাড়ি, ৩ টি বাস, ৪ টি মিডিয়া ওবি ভ্যান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে গতমাসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে।
উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকায় করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার জনকে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের একাধিক শহরে আগুন জ্বলেছে হিংসার। আর তার জেরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০৫ জনকে। এদিকে হিংসায় জড়িত থাকায় এফআইআর-এ নাম রয়েছে ৯৩ বছর বয়সী বৃদ্ধে থেকে ৬ বছর আগে মৃত ব্যক্তিরও। যা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সরকারকে।