মমতার দেখানো পথেই যোগী আদিত্যনাথ, বিতর্ক উত্তরপ্রদেশে
পশ্চিমবঙ্গের রং নীল সাদা হওয়ার পর এবার উত্তরপ্রদেশের রং গেরুয়া হচ্ছে শীঘ্রই। ইতিমধ্যেই যোগীজির দফতরকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পশ্চিমবঙ্গের রং নীল সাদা হওয়ার পর এবার উত্তরপ্রদেশের রং গেরুয়া হচ্ছে শীঘ্রই। ইতিমধ্যেই যোগীজির দফতরকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এই রঙ নিয়েও রাজনীতি থেমে নেই।
ইতিমধ্যেই লখনউ-তে লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভবনকে গেরুয়া রং করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভবনের পাঁচ তলায় বসেন যোগীজি। এমনিতেও গেরুয়া প্রীতির জন্য যোগী আদিত্যনাথ বিখ্যাত। সারাক্ষণই তাঁকে গেরুয়া বসনেই দেখা যায়। এমনকী কোনও অনুষ্ঠানে তিনি গেলে, তাঁর চেয়ারেও গেরুয়া তোয়ালে পাতা হয়। মাস তিনেক আগেই একসঙ্গে ৫০টি বাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বাসগুলি প্রত্যেকটিই গেরুয়া রঙের।
এদিকে এই ঘটনায় বিরোধীরা রং নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, বিজেপির কাছে আর কোনও ইস্যু নেই বলে তারা রং নিয়ে রাজনীতি করছে। অন্তত সর্বজনীন স্থানগুলিকে গেরুয়া রং থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল বলে অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির। সেইসঙ্গে আগে থেকেই রং করা লালবাহাদুর শাস্ত্রী ভবনকে নতুন করে রং করে কেন সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা।
২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরই এভাবেই গোটা রাজ্যকে পছন্দের নীল- সাদা রঙে রাঙিয়ে দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত ফুটপাত, ফ্লাইওভার এমনকী রাজ্য সচিবালয় নবান্নকেও নীল- সাদা করে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে অবশ্য বিরোধীরা কম কথা বলেনি। কটাক্ষও উড়ে এসেছে অনেক। একসময়ে বাড়ির বাইরের রং নীল- সাদা করলে কর ছাড়েরও ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন যোগী আদিত্যনাথ।
[আরও পড়ুন: ভাইকে গুলি করে বোনকে গণধর্ষণ, যোগীর রাজ্যে এই ঘটনায় ছিঃ]