কলেজগুলিতে মোবাইল নিষেধাজ্ঞা জারির কথা অস্বীকার যোগী সরকারের
উত্তরপ্রদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মোবাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা অস্বীকার করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের ডিরেক্টর বন্দনা শর্মা
উত্তরপ্রদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মোবাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা অস্বীকার করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কয়েকদিন আগে গুজব রটে যে উত্তরপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা পর্ষদও এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সংবাদ সংস্থা আইএনএসের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নির্দেশিকায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও প্রকার মোবাইল ফোন ব্যবহার করা জাবে না এরপর থেকে। অবশ্য শুধু ছাত্র নেই এই নিষেধাজ্ঞা লাগু হবে ষিক্ষকদের উপরও। অবশ্য এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের ডিরেক্টর বন্দনা শর্মা। তিনি বলেন, "ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট রাখার কথা বলে হয়েছে। এই নিয়মটি আগের থেকেই চালু রয়েছে।"
এদিকে পূর্ব প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, উচ্চশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি নির্দেশিকায় সমস্ত স্কুল কতৃপক্ষকে সেখানকার পরিবেশকে শিক্ষার অনুকূল করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে যে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক, উভয়পক্ষই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ব্যবহার করার জেরে মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। এই কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠআনে থাকাকালীন সময়ের সৎউপযোগ করতে মোবাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। তবে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ছত্রপতি সাহুজী মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানান, শুধমাত্র ক্লাস চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ জারির নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তাতে কোথাও উল্লেখ করা নেই যে মোবাইল নিয়ে প্রতিষ্ঠানে ঢোকা নিষেধ।
উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ এর আগে নিজের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোবাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেখা যায় সরকারি বৈঠক চলাকালীন অনেক মন্ত্রী ও আমলারা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পড়ছেন। যারপর শুরু হয় বিতর্ক। এরপরই যোগী আদিত্যনাথ সব সরকারি বৈঠকে মোবাইল নিয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মন্ত্রী ও আমলাদের ক্ষেত্রে।