রাজ্যে অপুষ্টি রোধ করতে পুষ্টি বাগান তৈরির ওপর জোর দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
একে
তো
করোনা
সঙ্কট,
তার
ওপর
দেশে
অপুষ্টির
সংখ্যা
সবচেয়ে
বেশি।
এরকম
পরিস্থিতিতে
উত্তরপ্রদেশ
সরকার
'জাতীয়
পুষ্টি
মাস–২০২০’
পর্যালোচনার
সময়
রাজ্যের
ন’টি
বিভাগকে
একত্রিত
হয়ে
রাজ্যে
অপুষ্টিজনিত
সমস্যা
কমানোর
জন্য
কাজ
করার
নির্দেশ
দিয়েছে।
এই
ন’টি
বিভাগ
হল
পঞ্চায়েতি
রাজ,
শিক্ষা,
মহিলা
ও
শিশু
বিভাগ,
কৃষি,
গ্রামীণ
উন্নয়ন,
খাদ্য
ও
নাগরিক
সরবরাহ,
আয়ুশ
ও
উদ্যান
বিভাগ।
'উত্তম পোষাণ, উত্তরপ্রদেশ রোশান’ (শ্রেষ্ঠ পুষ্টি উজ্জ্বল উত্তরপ্রদেশ) এই মন্ত্র স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর অধীনস্ত আধিকারিকদের নিশ্চিত করতে বলেছেন যাতে নাগরিকরা বেশি করে যোগদান করেন, যাতে রাজ্যে অপুষ্টি চিরতরে ঘুচে যায়। সরকারি কর্মকর্তাদের রাজ্যে স্যাম (গুরুতর তীব্র অপুষ্টি) ও ম্যাম (মাঝারি অপুষ্টি)–এ ভোগা শিশুদের সনাক্ত করতে বলা হয়। সেরা অপুষ্টি নিরাসনে শ্রেষ্ঠ জেলাকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণ ও মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানান। যোগী আদিত্যানাথ জানিয়েছেন, একটি সুস্থ উত্তরপ্রদেশ গড়ে তুলতে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তিনি এও জানান যে পুষ্টির দিক থেকে উত্তরপ্রদেশকে সেরা জায়গায় নিয়ে যেতে গেলে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন যে কীভাবে সক্রিয় কর্মীরা গোরখপুর এবং আশপাশের অঞ্চলে এনসেফালাইটিসের মারাত্মক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অপুষ্টিতে ভোগা কিছু শিশুর সঙ্গেও কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের এও জানান যে যাঁদের গরু রয়েছে তা লালনপালনের জন্য প্রতি মাসে তাঁদের ৯০০ টাকা করে দেওয়া হোক। উখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বেশ কিছু মা–বাবার সঙ্গে কথোপকথনের সময় গরু লালন পালনের সুবিধা ব্যাখা করেন। এই প্রস্তাব পাওয়ার পর অনেক অভিভাবকই এগিয়ে এসেছেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণে সহায়তা করার জন্য রাজ্য জুড়ে পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল, শাকসব্জী ও ঔষধি গাছের সঙ্গে 'পুষ্টি বাগান’ বিকাশের ওপরও জোর দিয়েছিলেন।
ভারতে প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসটিকে জাতীয় পুষ্টি মাস হিসাবে ধরা হয়। পুষ্টি বাগানের ধারণাটির বিশদ ব্যাখা করে যোগী জানিয়েছেন যে সরকারি স্কুল, আবাসিক স্কুল, অঙ্গদওয়াড়ি কেন্দ্র ও গ্রাম পঞ্চায়েতের জমিতে হওয়া উচিত। এছাড়াও এ ধরনের বাগান প্রত্যেক বাড়িতে থাকা দরকার বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।