৫৪০০০ কোটি টাকার ঘাটতি ইয়েস ব্যাঙ্কে, রানা কাপুরের বিলাসী জীবনযাপনই কি দায়ী! প্রশ্ন উঠছে
৫৪০০০ কোটি টাকার ঘাটতি ইয়েস ব্যাঙ্কে, রানা কাপুরের বিলাসী জীবনই কি দায়ী? প্রশ্ন উঠছে
নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্ক যখন ঘাটতির দিকে চলেছে , তখন একের পর এক বিলাসবহুল পার্টি দিয়ে গিয়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর। এমন অবস্থায় ধীরে ধীরে ধুঁকতে শুরু করে ইয়েস ব্যাঙ্ক। অনেকেই বলছেন, মুম্বইয়ে ১২৮ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাংলোর মালিক রানা কাপুরের বিলাসী জীবনযাপনই এমন পরিণতির জন্য দায়ী। কেমন ছিল সেই জীবন যাপনের প্রভাব সংস্থায় , দেখে নেওয়া যাক।
'বিনিয়োগ বেশি না করলে, বেশি লাভ পাবেন না..'
অফিসে সেরা কর্মীকে 'গোল্ডেন পিন' পুরস্কার দিতেন রানা। এক বিলাসবহুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই সম্মান দিতেন রানা কাপুর। বহু সময়ই তিনি বিলাসবহুল পার্টি দিতেন। এমনই দাবি সংস্থার কর্মীদের। কর্মীরা বলছেন রানা কাপুর প্রায়ই বলতেন, 'বিনিয়োগ বেশি না করলে, বেশি লাভ পাবেন না.. '।
কাকে কাকে ঋণ দিয়েছে রানার সংস্থা?
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, কর্পোরেট সেক্টরে রানা কাপুরের নাম এমন ভাবেই প্রচারিত হয়েছে, যে তিনি কাউকে কখনও 'না' বলেন না। ফলে যে সংস্থার মালিকই ইয়েস ব্যাঙ্কে এসেছন ঋণ নিতে, কোনও দিকে না তাকিয়ে তাঁকে সেই ঋণ দিয়েছেন রানা। আর অন্যদিকে, ইয়েস ব্যাঙ্কের সিন্দুকে তখন ফুটো হতে শুরু করেছে। কারণ বহু ঘাটতিতে থাকা সংস্থাকেই রানা ঋম দিতে শুরু করেন।
৫৪ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি!
রানা কাপুরের নেতৃত্বাধীন থাকা ইয়েস ব্যাঙ্ক ২৬ গুণ বেড়েছে নিজের পরিসরে। তবে ব্যাঙ্ক যতই নিজেকে বিস্তার করেছে ততই ফুটো হয়েছে ব্যাঙ্কের কোষাগার। ৫৪ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে ব্যাঙ্কে।
কেন গ্রেফতার ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা?
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। এরমধ্যে ,তিনি অলাভজনক একাধিক সংস্থাকে ঋণ দিয়েছেন। তাঁর নিজের সংস্থা ডিএইচঅফএল এই ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে কম পরিমাণ সম্পত্তির মূল্যকে বাড়িয়ে তার বিনিময়ে আর্থিক তছরুপ করে ঋণ নিয়েছে। আর সেই দায়ে গ্রেফতার রানা। ইডির নজরে তাঁর পরিবার। আশঙ্কায় ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহক থেকে সমস্যায় ব্যাঙ্কের কর্মীরাও।
শারীরিক পরীক্ষা হয়নি, দুবাই ফেরৎ যাত্রীর খোঁজে হন্য কর্নাটক সরকার