কুমারস্বামীর প্রস্থানেও স্বস্তিতে থাকবেন না ইয়েদুরাপ্পা, ৬ মাসের মধ্যেই অ্যাসিড টেস্ট কর্ণাটকে
১৪ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের মসনদে বসতে চলেছেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই তিনিও কী পারবেন কন্নড়ভূমে স্থায়ী সরকার দিতে।
কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতন ঘটেছে। আস্থা ভোটে ৯৯-১০৫ ভোটে কংগ্রেস-জেডিএস জোট হার মেনেছে বিজেপির কাছে। এখন যা অবস্থা তাতে ১৪ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কর্ণাটকের মসনদে বসতে চলেছেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি সরকার গড়ার দাবি জানাবেন রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই তিনিও কী পারবেন কন্নড়ভূমে স্থায়ী সরকার দিতে।
কী পরিস্থিতি
কর্ণাটক বিধানসভার মোট আসন ২২৫। অর্থাৎ কর্ণাটক বিধানসভা দখলে ম্যাজিক ফিগার ১১৩। বর্তমানে বিজেপির পক্ষে রয়েছেন ১০৫ বিধায়ক। আর কংগ্রেস-জেডিএসের পক্ষে রয়েছেন ৯৯ জন বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে একজন বিএসপি বিধায়ক ও দুজন নির্দল বিধায়ক বাইরে রয়েছেন। আর ১৬ বিধায়ক পদত্যাগ পত্র পেশ করেছেন।
কী দরকার
বিজেপির পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখতে গেলে আরও ৮ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ১৬ জন বিধায়কের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াবে ১০৫। তা বিজেপির আছে। অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে বিজেপি সরকার কোনও সমস্যার পড়বে না। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে ১৬টি আসনে ভোট হলেই সমীকরণ বদলে যাবে।
ভোট হলে
সেক্ষেত্রে বিজেপিকে অন্তত ৮টি আসনে জিতে আসতে হবে। তা না হলে ফের সরকার সংকটে পড়ে যাবে। বর্তমানে বিজেপির হাওয়া ভালো হলেও বিরোধী কংগ্রেস-জেডিএসের জেতা ১৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৮টিতে জিতে আসা খুবই কঠিন। তা করতে হলে ফের মোদী ম্যাজিকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
৬ মাসের মধ্যে ফের পরীক্ষা
কিন্তু লোকসভায় যা হয়েছে, বিধানসভার উপনির্বাচনে তা করা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। বিদ্রোহী বিধায়কের পদত্যাগপত্র যদি গৃহীত না হয়, তাঁরা যদি বিজেপির দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে বিজেপির পক্ষে সরকারে থাকা অনেক সহজ হবে। তবে কংগ্রেস চাইবে বিধায়ক পদ বাতিল করে দিয়ে ফের ভোটে যেতে। অর্থাৎ কর্ণাটকে ৬ মাসের মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে বিজেপিকে।