কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকার ফেলার নেপথ্যে কে? ইয়েদুরাপ্পার ফাঁস হওয়া ভিডিওয় নতুন করে শুরু বিতর্ক
বিধায়ক কেনাবেচা ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। আঙ্গুল উঠেছিল অমিত শাহের উপর। বিরোধীদের সেই অভিযোগ কার্যত নিজেই প্রমাণ করে দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
জুলাইতে ৪ দিনের নাটক শেষে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ১৪ মাসের মধ্যেই পতন হয় কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি-র বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সেই সময় বিধায়ক কেনাবেচা ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। আঙ্গুল উঠেছিল অমিত শাহের উপর। বিরোধীদের সেই অভিযোগ কার্যত নিজেই প্রমাণ করে দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
১০০ দিন পূর্ণ করেই বিতর্কে ইয়েদুরাপ্পা
সরকার গঠনের পর ১০০ দিন পূর্ণ করেছেন সম্প্রতী। সেই উপলক্ষে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিদ্রোহের তদারকি করেছিলেন অমিত শাহ নিজে। পাশাপাশি সেই বিদ্রোহের আয়োজন ও পরিকল্পনাও ছিল অমিত শাহর। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য পেশ করার একটি ভিডিয়ো সামনে আসতেই ফের তোলপাড় কন্নড় রাজনীতি।
বিদ্রোহী বিধায়কদের সাহায্যে সরকারে ফেরে বিজেপি
এর আগে চলতি মাসেই ঘোড়া কেনাবেচা-দুর্নীতি-অসহযোগিতা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন জোট সরকারের ১৫ জন বিধায়ক। পরে সেই দলে যোগ দেন আরও দুই নির্দল বিধায়ক। কর্নাটক ছেড়ে মুম্বইতে এসে থাকতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। এর পরেই শুরু হয় আস্থাভোট নিয়ে জল্পনা । বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে ২৩ জুলাই আস্থা ভোটে পরাজিত হয় কুমারস্বামীর জোট সরকার। ম্যাজিক ফিগার ১০৫ হলেও জোট সরকারের দখলে আসে মাত্র ৯৯টি ভোট।
কর্নাটকের ম্যাজিক ফিগার
গত বছর কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয় ৷ ২২৪ আসনের মধ্যে দুটি আসনে ভোট স্থগিত ছিল৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক ফিগার ১১২ টপকাতে পারেনি গেরুয়া শিবির৷ তাদের ছিল ১০৪টি আসন ৷ ৭৮টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে৷ জনতা দল (সেকুলার) জিতেছিল ৩৭টি আসনে৷ একটি আসন পেয়েছিল মায়াবতীর বিএসপি৷ দুটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী৷ এদের মধ্যে একজন পরে বিজেপি-কে সমর্থন করেন৷