ফিরে দেখা ২০১৯: ভারতের রাজনীতিবিদের ৫ বিতর্কিত বিবৃতি যা হইচই ফেলে দিয়েছে
বছরভর রাজনীতিবিদরা একে অপরকে আক্রমণ করছেন। এইভাবেই নাকি ভোটারদের আস্থা লাভ করা যায়। যদিও এরই ফাঁক গলে উদ্ভট মন্তব্য করে বসেন রাজনৈতিক নেতারা।
বছরভর এদেশের রাজনীতিবিদরা একে অপরকে আক্রমণ করছেন। এইভাবেই নাকি ভোটারদের আস্থা লাভ করা যায়। যদিও এরই ফাঁক গলে উদ্ভট মন্তব্য করে বসেন রাজনৈতিক নেতারা। অনেক সময় তা নিজের দলকেও বিপাকে ফেলে। আর যেহেতু বিজেপি ক্ষমতায় তাই তাদের দলের নেতাদের মন্তব্যই বেশি ফুটে ওঠে। বিরোধীরাও পিছিয়ে থাকেননি এই উদ্ভট মন্তব্য থেকে।
রাহুল গান্ধী(কংগ্রেস)
এমাসের শুরুতে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্যে বিজেপির তরফে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠায় রাহুল টেনে আনেন বীর সাভারকরের কথা। তিনি বলেন, তিনি রাহুল গান্ধী, রাহুল সাভারকার নন। নয়াদিল্লির ভারত বাঁচাও সমাবেশ থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেন, সংসদে বিজেপির সদস্যরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছিল। কিন্তু তিনি তাঁদের বলতে চান, তিনি রাহুল সাভারকর নন। তিনি ক্ষমা চাইবেন না। সত্যি কথা বলার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। স্পষ্ট বার্তা দেন রাহুল।
রাহুল গান্ধীর এই কথার জেরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিজেপির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট সঙ্গী শিবসেনাও রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করে। বীর সাভারকরের নাতি রঞ্জিত সাভারকর বলেন, ভাগ্য ভাল যে তাঁর নাম রাহুল সাভারকর নয়।
প্রজ্ঞা ঠাকুর(বিজেপি)
বছরভর নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত, কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংকে হারিয়ে লোকসভায় জয়ী হয়েছেন।
অগাস্টে
প্রজ্ঞা
ঠাকুর
বিজেপি
নেতার
অকাল
মৃত্যুতে
বিরোধীদের
কালো
জাদুকে
দায়ী
করেছিলেন।
দেশের
প্রাক্তন
অর্থমন্ত্রী
অরুণ
জেটলি
এবং
প্রাক্তন
সাংসদ
ও
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
বাবুলাল
গৌড়ের
স্মরণ
সভায়
প্রজ্ঞা
বলেছিলেন,
গত
লোকসভা
নির্বাচনের
সময়
এক
সাধু
তাঁকে
বলেছিলেন,
সাধনা
না
থামিয়ে
আরও
বাড়াতে
হবে।
কেননা
এই
সময়েই
বিরোধীরা
তাদের
মারাত্মক
শক্তি
ব্যবহার
করবে।
প্রজ্ঞা
বলেন,
তিনি
সেই
কথা
শুনেও
ভুলে
গিয়েছিলেন।
কিন্তু
তিনি
দেখছেন,
শীর্ষ
নেতৃত্ব,
প্রথমে
সুষমা
স্বরাজ,
তারপর
বাবুলাল
গৌড়
এবং
পরে
জেটলির
মৃত্যু
হয়েছে।
কিন্তু
তা
কি
মারাত্মক
সেই
শক্তির
জন্য,
প্রশ্ন
উঠছে।
কিন্তু
দলীয়
নেতৃত্বের
মৃত্যু
হচ্ছে
অকালেই।
যোগী আদিত্যনাথ(বিজেপি)
বিজেপি নেতা তথা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন এপ্রিলে। তিনি বলেছিলেন, মুসলিম লিগ হল সবুজ ভাইরাস। তিনি বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলিম ভোটাররা আলি-বজরং বলি প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
মুসলিমদের কাছে উত্তর প্রদেশের তৎকালীন বিরোধী জোটকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মায়াবতী। যেই কারণে বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীকে আক্রমণ করতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, হিন্দুদের কাছে কোনও বিকল্প নেই বলেই তারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যদি কংগ্রেস, এসপি, এবং বিএসপির বিশ্বাস থাকে আলির ওপর, তাহলে তাদের বিশ্বাস বজরং বলির ওপরে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মিরাটের এক জনসভায় এই মন্তব্য করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আজম খান(সমাজবাদী পার্টি)
এপ্রিলে লোকসভা প্রচারে বেরিয়ে সমাজবাদী পার্টির বিতর্কিত নেতা আজম খান তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের রামপুরে তিনি বিজেপি সাংসদ জয়া প্রদাকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, অন্তর্বাস খাকি রঙের হয়।
ফারুক আবদুল্লা( ন্যাশনাল কনফারেন্স)
বর্তমানে গৃহবন্দি রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমম্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ভোটপ্রচারে তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই পুলওয়ামা হামলার পিছনে রয়েছেন। নির্বাচনে জিততেই তিনি এই কাজ করেছেন, অভিযোগ ছিল ফারুকের।