ফিরে দেখা ২০১৯: বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক থেকে সিডিএস, প্রতিরক্ষায় বছরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক থেকে চিফ ডিফেন্স স্টাফ ২০১৯ সালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। বছরের শুরুতেই হয়েছে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক।
বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক থেকে চিফ ডিফেন্স স্টাফ ২০১৯ সালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। বছরের শুরুতেই হয়েছে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক। আর বছরের শেষে তিন বাহিনীর প্রধান পদে চিফ ডিফেন্স স্টাফ পদের অনুমোদন দিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। সব মিলিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঘটেছে এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে।
বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক
২০১৯ সালের শুরুতেই পুলওয়ামা হামলা ঘটায় জঙ্গিরা। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটনা হয় আধাসেনার কনভয়ে। প্রায় ৪২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল সেই হামলায়। জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তের ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। মিরাজ যুদ্ধবিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোটে জঈশের জঙ্গি ঘাঁটি। তারপরের দিন পাকিস্তানের পাল্টা জবাব দিতে সীমান্তে হানা দেয়। কিন্তু বায়ুসেনা তৎপরতার সঙ্গে পাক যুদ্ধবিমানকে সীমান্তের ওপাড়ে তাড়া করে পাঠিয়ে দেয়।
অভিনন্দন বর্তমান
বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর পাক বিমানকে সীমান্তে ওপাড়ে তাড়া করে নিয়ে যেতে পাক সীমান্তে গিয়ে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাক পাক বাহিনী। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন টানাপোড়েন চলে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে। অবেশেষে কূটনৈতিক আলোচনার পর অভিনন্দন বর্তমানকে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান।
নিজেদেরই মিগ হেলিকপ্টারে গুলি বায়ুসেনার
এরই মধ্যে আবার পাক বিমান সন্দেহ করে মিগ-১৭ ভি ভাইভ হেলিকপ্টার গুলি করে নামায় বায়ুসেনা। তাতে ৬ বাসুসেনার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জন্য দুই বায়ুসেনা আধিকারিককে কোর্ট মার্শাল করা হয়। এই ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছেন বায়ুসেনা প্রধানও। ভুল বশত তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
রাফাল বিমানের আগমন
ইতিমধ্যে দীপাবলীর শুভদিনে ফ্রান্সে গিয়ে প্রথম রাফালে বিমানের অভিষেক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দীবাপলিতে রাফালে নিয়ে শস্ত্র পুজো করায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই রাফাল যুদ্ধ বিমানের আগমন ঘটে ভারতে।
অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের আগমন
২০১৯ সালের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মোদী সরকার। মিগ যুদ্ধ বিমানেপ আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে। একাধিক রণতরীর আধুনিকীকরণ এবং নৌসেনার হেলিকপ্টার ও বিমানেরও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুখোই-৩০, অ্যাপাচে হেলিকপ্টার, িচনুক হেলিকপ্টার, ব্রাহ্মোস ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, মিরাজ-২০০০, মিগ-২৯ সহ একাধিক অত্যাধুিনক যুদ্ধ বিমান এবং অস্ত্রের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে।
সিডিএস পদ তৈরি
বছরের শেষে মোদীর মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে চিফ ডিফেন্স স্টাফ নামক পদটির। গত ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পদটি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। সেটি বছরের শেষে অনুমোদন দেন। তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সিডিএস। তবে অভিযান সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। বাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রধানের যোগাযোগ বিনিময় করবেন তিনি।