যশবন্ত সিনহার হাজতবাসের মেয়াদ বাড়ল
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের অভিযোগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসের হাজারিবাগ শাখায় চড়াও হন তিনি। সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা করার অভিযোগে এর পরেই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। (আরও পড়ুন) আদালতে জামিন নিতে অস্বীকার করলে তাদের ১৪ দিনে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। কিন্তু তার পর থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। এই ঘটনায় মর্মাহত সিনহা।
মঙ্গলবার যশবন্ত সিনহার সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করবেন আদবানী, পরামর্শ দেবেন জামিনের
যশবন্ত সিনহার ঘণিষ্ঠ মহলের তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন ধরে দলের জন্য সর্বস্ব দিয়েছেন সিনহা। অথচ তাঁকে 'অপমানজনকভাবে' জেল হাজতে পাঠানোর পরেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও রকম হেলদোল নেই। গত ১৩ জুন চেয়ার ভেঙে পড়ে গিয়ে আহত হন সিনহা। কিন্তু তার পরেও কেউ একবার আহত বরিষ্ঠ নেতাকে দেখতে এলেন না।
তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা বেআইনি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সিনহা। (আরও পড়ুন) জানিয়েছিলেন যতক্ষণ না প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে 'বেআইনি এই মামলা' প্রত্যাহার করছে ততক্ষণ জেলের বাইরে আসবেন না। সেই কথা বজায় রেখে আজও জামিনের টাকা দিতে অস্বীকার করেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আগামী ২৮ জুন ফের এই মামলার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার লালকৃষ্ণ আদবানী যশবন্ত সিনহার সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করবেন। সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, জেদ ছেড়ে জামিন নেওয়ার জন্য যশবন্ত সিনহাকে বলবেন বিজেপির এই বরিষ্ঠ নেতা।