যশবন্ত সিনহার নামেই সিলমোহর রাষ্ট্রপতি পদে, তৃণমূলের নেতাকেই সমর্থন কংগ্রেস-সহ ১৮ দলের
যশবন্ত সিনহার নামেই সিলমোহর রাষ্ট্রপতি পদে, তৃণমূলের নেতাকেই সমর্থন কংগ্রেস-সহ ১৮ দলের
বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদে সিলমোহর পড়ল তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহার নামেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ অবশেষে সফল হল। মঙ্গলবার বিরোধী দলের বৈঠকের পর এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার ও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে জানিয়ে দেন সমস্ত বিরোধী দলের সম্মতিক্রমে যশবন্ত সিনহাই হচ্ছে বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।
১৮ দলের সিলমোহর যশবন্ত সিনহার নামে
এদিন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের পৌরহিত্যে বিরোধীরা একটি বৈঠকে সম্মিলিত হয়েছিলেন। সেই বৈঠকে যশবন্ত সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয়। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যায় তারপরই। যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করেন বিরোধী ১৮টি দলই। মমতার পৌরহিত্যে প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৭ দলের প্রতিনিধি। এদিন মিম প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
আরও দুই দলের সমর্থন যশবন্ত সিনহাকে
বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্তের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরই তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ও আম আদমি পার্টিও তাঁক সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। সেই নিরীখে ২০টি রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেয়ে গেলেন যশবন্ত সিনহা। বাকি থাকছে বিজু জনতা দল ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এই দুই দলের সমর্থন যশবন্ত সিনহা পায় কি না, সেটাই দেখার।
যশবন্তের নাম নিয়ে মৃদু বিরোধিতা
যশবন্ত সিনহা বর্তমানে তৃণমূলের সহ সভাপতি। তিনি দলের সাংগঠনিক পদে রয়েছেন। তাই তাঁর নাম নিয়ে মৃদু বিরোধিতা উঠেছিল বৈঠকে। কংগ্রেস ও বামেদের তরফে একটা প্রশ্নচিহ্ন তোলা হয়েছিল। পরে তা কেটে যায়। জানানো হয়, তিনি বর্তমান তৃণমূলের সহ সভাপতি রয়েছেন, তিনি যদি এই পদ থেকে ইস্তফা দেন, তাহলে আর আপত্তি থাকার কথা নয়। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতেই পারেন।
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সুদক্ষ যশবন্ত
সেইমতোই সর্বসম্মতিক্রমে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যশবন্ত সিনহার নাম চূড়ান্ত করা হয় রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে। তিনি কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের মতো গুরুভার সামলেছেন। সেই হিসেবে তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে সুদক্ষ। তৃণমূল চেয়েছিল সর্বসম্মতভাবে তাঁদের দলের নেতাকে যদি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হয়, তাতে তাদের আপত্তি নেই।
শারদ-ফারুক-গোপালকৃষ্ণের পর যশবন্ত
বিরোধীরা সর্বাগ্রে শারদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তিনি আগেই হাত তুলে নিয়েছিলেন। তিনি বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে চাননি। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধী বৈঠকে দিল্লিতে দুটি নাম উঠে এসেছিল। তৃণমূল প্রস্তাব করেছিল ফারুক আবদুল্লার নাম। আর তৃণমূল ও সিপিএম তথা বামেদের তরফে প্রস্তাব করা হয়েছিল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম। কিন্তু একে একে দুজনেই এই নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।
শারদ পাওয়ার বৈঠকে সিলমোহর যশবন্তে
দিল্লিতে বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে কোনও নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি বিরোধীরা। বিরোধীদের তরফে সর্বসম্মত এক প্রার্থী চূড়ান্ত করার ভার তারপর দেওয়া হয়েছিল শারদ পাওয়ারকে। সেই মর্মে শারদ পাওয়ার দিল্লিতে বৈঠক করেন এদিন। এদিনের বৈঠকে তৃণমূলের যশবন্তের নাম চূড়ান্ত হয়ে যায়। সোমবার থেকেই যশবন্তের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই নামেই সিলমোহর পড়ে।