কর্ণাটকে 'হিজাব ইস্যু'তে রায় দেওয়া বিচারপতিদের 'ওয়াই' ক্যাটেগরির নিরাপত্তা
কর্ণাটকে 'হিজাব ইস্যু'তে রায় দেওয়া বিচারপতিদের 'ওয়াই' ক্যাটেগরির নিরাপত্তা
হিজাব নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না৷ কর্ণাটক হাউকোর্টের রায় স্কুল-কলেজে হিজাব ব্যানের পক্ষেই রায় দেওয়ার পর রাজ্য জুড়ে বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন ইসলাম ধর্মের মানুষরা৷ এবার হিজাব ইস্যুতে রায় দেওয়া তিন বিচারপতির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়াতে কর্ণাটক সরকার রবিবার রাজ্যের প্রধান বিচারপতি সহ তিন বিচারপতিকে 'ওয়াই' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি মাদুরাইতে হিজাব মামলায় রায় দেওয়া তিন বিচারকদের হত্যার হুমকি সামনে এসেছে। এ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই মাদুরাই বিরোধীদেরকে, 'ভুয়ো ধর্মনিরপেক্ষ' বলে আক্রমণ করেছেন কারণ তারা এই ঘটনার নিন্দা করেননি৷
তিনি বলেন,ঘটনার ৩-৪ দিন পরেও ভুয়ো ধর্মনিরপেক্ষ লবি কেন নীরব? রায়ের কারণে কিছু লোক বিচারকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং তারা কীভাবে বিচারকরা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হবে তা নিয়ে কথা বলছে। এর পরেও আপনারা সবাই কেন চুপ? শুধু একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের খুশি করার জন্য? এটা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, এটা সাম্প্রদায়িকতা। আমি এর নিন্দা জানাই এবং আপনাদের সকলের নীরবতা ভাঙা উচিত এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ডিজিপিকে এই নিয়ে হওয়া তদন্তটি দেখতে এবং অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে তামিলনাড়ুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। কিছু বেসরকারী নাগরিকদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর আগে, হিজাব রায়ের জন্য কর্ণাটক হাইকোর্ট ও বিচারকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য তিনজন 'তামিলনাড়ু তৌহিদ জামাত' কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সম্প্রতি মাদুরাইয়ের কোরিপালিয়াম এলাকায় এক জনসভায় কর্ণাটকের বিচারপতিদের হুমিক দেওয়া হয়৷
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের স্কুলে হিজাব বিতর্কে বড় রায় দিয়েছে হাইকোর্ট৷ মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, 'হিজাব একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়'৷ যারা ক্লাসে হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল সেই সমস্ত মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কিছুটা আশহত করেছে কর্ণাটক হাইকোর্টের এই রায়। এই রায় দেওয়ার আগে যখন স্কুল-কলেজে হিজাব আপাত ব্যানের কথা বলেছিল কোর্ট তখন পাঁচটি পিটিশন আদালতে নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। এরপর অশান্তির আঁচ করে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় বেরনোর আগেই রাজ্য সরকার জনশান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে এক সপ্তাহের জন্য বৃহৎ জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল।