কর্পোরেটদের লক্ষ কোটি টাকা ঋণমকুব কেন্দ্রের! ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করে নয়া কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত মমতার
কেন্দ্রকে বিঁধতে নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেলেন বিজেপি সরকারের অন্যতম প্রবল প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার স্যুট বুটের সরকার। অর্থাৎ কৃষকদের কথা মুখে বললেও কর্পোরেটদের সাহায্য করে গরিব মানুষকে আরও খাদের ধারে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। কংগ্রেস সহ বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই অভিযোগে সরব হয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেলেন বিজেপি সরকারের অন্যতম প্রবল প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই তথ্য অবশ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রই। বলা যায়, নিজেদের দোষ প্রায় না চাইতে স্বীকার করতে হয়েছে। বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হিসাবে সংসদে জানতে চান ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ কি কেন্দ্র মাফ করে দিয়েছে? ২০১৪-১৫ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের মধ্যে এত টাকা কেন্দ্র বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাকে ঋণ হিসাবে দিয়েছিল।
সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র ঋতব্রতকে জবাব দিয়েছে। এবং সেই জবাবের কপি সামনে এনে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতব্রতর প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শিব প্রতাপ শুক্লা জানিয়েছেন, এটা সত্যি যে ২০১৪-১৫ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ তাদের নথিতে উল্লেখ করেনি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি।
সাফাই হিসাবে তিনি বলেছেন, এই ধরনের ঋণ মাফ করা ব্যাঙ্কগুলির দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই পড়ে। ব্যালান্স শিট পরিষ্কার রাখতে ব্যাঙ্কগুলি এই ধরনের পদক্ষেপ করে। তাই ওই অনাদায়ী ঋণের উল্লেখ আলাদা করে করা হয়নি।
এই
তথ্য
প্রসঙ্গেই
মমতা
বলেছেন,
যেখানে
সারা
দেশের
কৃষকরা
ঋণের
বোঝা
মাথায়
নিয়ে
কাঁদছে,
আত্মহত্যা
করছে,
সেখানে
কেন্দ্র
সরকার
তাদের
ঋণমকুবের
কথা
ভাবছে
না।
বদলে
রাষ্ট্রয়ত্ব
ব্যাঙ্কগুলির
নন
পারফর্মিং
অ্যাসেটগুলিকে
উল্লেখ
করা
হয়নি।
কর্পোরেটদের
২.৪
লক্ষ
টাকা
ঋণ
মকুব
করে
দেওয়া
হয়েছে।
এটা
ভাবা
যাচ্ছে
না।
সরকার
সবকিছু
গোপন
রাখছে।
কাদের
ঋণ
মকুব
করা
হয়েছে।
তাদের
তালিকা
প্রকাশ
করার
দাবি
জানিয়েছেন
মমতা।
এই
ঘটনা
ফের
এক
বড়
কেলেঙ্কারির
ইঙ্গিত
দিচ্ছে
বলেও
দাবি
করেছেন
তিনি।