হবু বউ করোনা সংক্রমিত, বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিয়ে, দম্পতি সহ ৩০ জন কোয়ারান্টাইনে
হবু বউ করোনা সংক্রমিত, বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিয়ে, দম্পতি সহ ৩০ জন কোয়ারান্টাইনে
বিয়ের সব প্রস্তুতি সারা। শুধুমাত্র অপেক্ষা দুই হাত চার হওয়ার। কিন্তু বাধ সাধল সেই করোনা। হবু বউয়ের ধরা পড়ল কোভিড–১৯। তবে বিয়েটা হয়েছে শেষপর্যন্ত। বিশেষ দিনের জন্য তাঁরা পাঁচ মাস অপেক্ষা করেছেন। দু’জনেই একে–অপরের থেকে ২৯৬.৬ কিমি দূরে থাকেন। দু’জনের কেউই ভাবেননি এই বিশেষ মুহূর্তের জন্য তাঁরা ই–পাস পাবেন। রবিবারই ছিল তাঁদের বিয়ের দিন। কিন্তু হবু বউয়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় সব যেন কেমন গোলমাল পাকিয়ে গেল।
বিয়ের একদিন আগে হবু বউ করোনা পজিটিভ
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ভিলুপুরম জেলার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তিনটি জেলা পেরিয়ে থালাইভাসালে পৌঁছান। নিয়ম অনুসারে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাঁর সোয়াব পরীক্ষা করেন। শনিবার সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই মহিলা তাঁর প্রেমিককে বিয়ে করবেন, যিনি ত্রিপুরের পোশাক রপ্তানি সংস্থায় কর্মরত।
শর্তসাপেক্ষে বিয়ের জন্য অনুমতি
রবিবারই ছিল তাঁদের বিয়ের দিন। হবু বউয়ের পরিবার স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই বিয়ের জন্য অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানান। পাত্রীর দেহে কোনও উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বিষয়টি কালেক্টরকে জানান। যিনি পুলিশ ও অন্য সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এই বৈঠকের পর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া হলেও প্রশাসনের পাঁচটি নিয়ম ওই দম্পতি ও তাঁদের পরিবারকে অনুসরণ করতে হবে।
সামাজিক দুরত্ব মেনে বিয়ে হয়
ওই দম্পতির বিয়ে হয় বরের বাড়ি গঙ্গাভাল্লিতে এবং তাঁরা দু'জনেই কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। এই দু'জনের অনুষ্ঠানে আসা ২৮ জন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কোয়ারান্টাইনে রয়েছে। সালেমের কালেক্টর এস এ রমন জানিয়েছেন যে মানবিকতার খাতিরে এই বিয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পরিবারকে প্রশাসনের শর্ত মানতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, এই বিয়েতে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই কড়া সামাজিক দুরত্ব মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে। বিয়ের পরই ওই যুগল সহ সবাইকে বাড়ির মধ্যে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। যারা বিয়েতে যোগ দেবে তাদের আগে লিখিতভাবে জানাতে হবে যে তারা সব নির্দেশ মেনে চলবে এবং যে কোনও হিংসার ঘটনার দায় নেবে।
দম্পতি সহ ২৮ জন কোয়ারান্টাইনে
রমন বলেন, ‘উপসর্গ নেই এমন রোগীদের বাড়িতে চিকিৎসা করার বিধান রয়েছে তাই পুরো পরিবারকে আইসোলেট করে রাখা হয়েছে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য কাবাসুরা কুদিনির ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সাতদিন পর তাদের সোয়াব সংগ্রহ করা হবে।' স্বাস্থ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জে নির্লমালাসন জানিয়েছেন যে ওই দম্পতি ও আত্মীয়দের ২৮ দিনের জন্য বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। মোট ৩০ জন কোয়ারান্টাইনে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে
হিমাচলপ্রদেশের হামিরপুর এবং সোলানে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ