করোনা মহামারীতে ভারতের ৮০ শতাংশ নাগরিক দারিদ্রের কবলে পড়েছিল, রিপোর্ট বিশ্বব্যাঙ্কের
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে করোনা মহামারীর জেরে ৮০ শতাংশ ভারতীয় দরিদ্র হয়ে গিয়েছেন
বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি সমীক্ষা অনুসারে করোনা মহামারীর জেরে ভারতে ৮০ শতাংশ মানুষ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। বিশ্বব্যাপী ৭ কোটি মানুষ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। তারমধ্যে ভারতে ৫.৬ কোটি মানুষ করোনা মহামারীর জেরে আর্থিক ক্ষতির কারণে দরিদ্র হয়ে পড়েছিল।
বিশ্বব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২০ সালে চরম দারিদ্রের হার ছিল ৯.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে ছিল ৮.৪ শতাংশ। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বে দারিদ্র দূর করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে তা প্রথমবারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে প্রায় ৭ কোটি মানুষের আর্থিক অবস্থা নতুন করে খারাপ হয়ে যায়। দরিদ্র হয়ে পড়েন। বিশ্বব্যাঙ্কের সমীক্ষায় যার ফলে বিশ্বে মোট দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ কোটি। করোনা মহামারীর জেরে একধাক্কায় বিশ্বের দরিদ্রের সংখ্যা অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পরিসংখ্যানের ওপর বিশ্বের দরিদ্রের হার নির্ভর করে। বিশ্বব্যাঙ্কের এই সমীক্ষায় ভারতের তরফে দরিদ্রের হারের কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে ২০১১ সাল থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিবেদন দেওয়া হয় না ভারতের তরফে। এক্ষেত্রে তাই বিশ্বব্যাঙ্ককে সমীক্ষা করার জন্য সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-এর তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
বিশ্বব্যাঙ্কের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
ভারতের
তরফে
সরকারি
কোনও
তথ্য
প্রকাশ
করা
হয়নি।
বেসরকারি
তথ্যের
ওপর
নির্ভর
করতে
হচ্ছে।
তবে
যে
বেসরকারি
তথ্য
পাওয়া
গিয়েছে,
তার
ওপর
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
এখনও
নেওয়া
হয়নি।
সরকারি
তথ্যের
অভাবে
ভারতীয়,
আঞ্চলিক
এবং
বিশ্বব্যাপী
দারিদ্র্যের
মাত্রা
অনুমান
করার
জন্য
এটি
ব্যবহার
করা
হয়েছে।
সিপিএইচ-এর
তথ্য
বলছে
২০২০
সালে
ভারতে
৫.৬
কোটি
নাগরিক
দারিদ্রের
মুখে
পড়েছিল।
বিশ্বব্যাঙ্ক
রিপোর্ট
তৈরি
করতে
সিপিএইচ-এর
তথ্য
প্রকাশ
করেছে।
২০২২
সালের
এপ্রিলে
প্রকাশিত
একটি
প্রতিবেদন
অনুসারে
২০২০
সালে
২.৩
কোটি
ভারতীয়
নতুন
করে
দারিদ্রের
মুখ্যে
পড়েছিল।
ভারত
সরকারের
অনুমানের
থেকে
দারিদ্রের
বাস্তব
চিত্রটা
আরও
করুণ
বলে
আন্দাজ
করা
হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে দারিদ্র সম্পর্কিত তথ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এরজেরে বিশ্বব্যাপী রিপোর্টে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাঙ্ক পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, ভারতে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র নিম্নগামী ছিল। বিশ্বে দারিদ্রের পরিমাপের জন্য ভারতের বিষয়ে যা অনুমান করা হয়, দারিদ্রের হার তার থেকে কম ছিল।
করোনা মহামারী বিশ্বে প্রভাব বিস্তার না করলে দরিদ্রের সংখ্যা কম হতে শুরু করেছিল। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের মাত্রা করোনা মহামারীর জেরে ঐতিহাসিকভাবে বেড়েছে।