৫০ বছর একই হাসাপাতালে কাজ, ভেন্টিলেটরের অভাবে সেই হাসাপাতালেই মৃত্যু করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের
৫০ বছর একই হাসাপাতালে কাজ, ভেন্টিলেটরের অভাবে সেই হাসাপাতালেই মৃত্যু করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের
ক্রমেই
ভয়াবহ
আকার
ধারণ
করছে
উত্তরপ্রদেশের
করোনা
সংক্রমণ।
প্রায়
সমস্ত
হাসপাতালেই
চরমে
উঠেছে
অক্সিজেন
সঙ্কট।
দেখা
দিয়েছে
বেডের
আকাল।
এমতাবস্থায়
এবার
ন্টিলেটরের
অভাবে
মৃত্যু
হল
করোনা
আক্রান্ত
এক
চিকিৎসকের।
যে
হাসপাতালে
তিনি
শেষ
নিশ্বাস
ত্যাগ
করেছেন
সেখানেই
গত
৫০
ধরে
কর্মরতও
ছিলেন
তিনি।
কিন্তু
এই
করুণ
পরিস্থিতিতে
এদিন
পরিবারের
চোখের
সামনেই
শুধুমাত্র
অক্সিজেনের
অভাবে
পৃথিবীর
মায়া
ত্যাগ
করে
চিরবিদায়
নেন
৮৫
বছর
বয়সি
চিকিৎসক
জেকে
মিশ্র।
সূত্রের খবর, গত ১৩ এপ্রিল মিশ্র করোনা আক্রান্ত হন। তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ফলে তিন দিন পরে স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তির পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে বলে খবর। এরপরেই তাঁর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে কোনও ভেন্টিলেটর যুক্ত বেড না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই হাতেই বাইরে চলে যায়। অবশেষে যমে-মানুষে টানাটানির এদিন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ওই করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে আদপে প্রায় ১০০টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে সবগুলিই রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও ভেন্টিলেটর না থাকাতেই চিকিৎসককে দেওয়া যায়নি বলে জানান স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার সূর্যভান কুশওয়াহা। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাতের মতো ক্রমেই করোনার অন্যতম প্রধান ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। এমনকী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সেখানে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।