সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু নতুন সংসদ ভবনের
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু নতুন সংসদ ভবনের
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় শুরু হল নতুন সংসদ ভবনের কাজ। শুক্রবার থেকেই এই পুর্ননির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিলান্যাসের এক মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, নতুন ভবনে ২০২২ সালে সংসদের বাদল অধিবেশন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
২০২২ সালে শেষ হবে এই নতুন ভবন
সেন্ট্রাল ভিস্তা পুর্ননির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১০ ডিসেম্বরে শিলান্যাস করেছিলেন মোদী। লক্ষ্য, ২০২২ এ ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে এই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা। নতুন সংসদ ভবন ত্রিকোনাকৃতি হবে বলে জানা গিয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, 'সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।' এই সপ্তাহের শুরুতে, ১৪ জন সদস্যের হেরিটেজ প্যানেলটি নতুন সংসদ ভবনে অনুমোদনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেছে সরকার
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরুর আগে প্যানেল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বের অনুমোদন চাইতে বলা হয়েছিল। সরকার সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানায়। সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করা হয় যে শীর্ষ আদালত ইস্যুতে বিচারাধীন আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত কোনও নির্মাণ বা ধ্বংসের কাজ শুরু হবে না। তাই প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরী হয়।
দায়িত্বে টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড
এই নতুন সংসদ ভবন তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড। নির্মাণ প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৯৭১ কোটি টাকা। টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড বলেছে যে নির্মাণ কাজ শুরুর ক্ষেত্রে ৩৫ দিনের বিলম্ব সত্ত্বেও, এটি নিশ্চিত যে এই প্রকল্পটি সময় বা তার আগে শেষ হতে সক্ষম হবে। টাটা প্রজেক্টস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিজনেস ইউনিটের প্রধান সন্দীপ নাভালখে বলেছেন, 'দক্ষ জনশক্তি এবং ফার্ম ওয়ার্ক ইত্যাদির মতো সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে।'
৯৪ বছর পর নতুন সংসদ ভবন
সংসদের নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে বিদ্যমান সংসদ তৈরির ৯৪ বছর পর। সেই সময় পুরনো সংসদ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৮৩ লক্ষ টাকা এবং তা পরে একটি যাদুঘরে পরিণত হবে। নতুন সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার চেয়ে হাউসগুলি অনেক বড় হবে এবং ৮৮৮ ও ৩৮৪ জনের বসার ক্ষমতা থাকবে দু'টি কক্ষে। লোকসভা হলেও অতিরিক্ত ১,২৭২ টি আসন থাকবে।
কী কী থাকবে নতুন ভবনে
সংসদ ভবনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আধুনিক আসবারপত্র ও বায়োমেট্রিক থাকবে। এছাড়াও গ্রাফিকাল ইন্টারফেস, ডিজিটাল ভাষার ব্যাখ্যা এবং রেকর্ডিং পরিকাঠামো যা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করবে, প্রোগ্রামেবল মাইক্রোফোন যা স্পিকারের সঙ্গে কথা বলতে সহায়তা করবে সদস্যদের।
১০০ কৃষকের মৃত্যু হলেও নির্বাক থাকবেন মোদী! ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণে রাহুল