দজ্জাল বউয়ের কবল থেকে বাঁচান, মহিলা হেল্পলাইনে আর্তি পুরুষকুলের!
বউ কথায় কথায় চড়-থাপ্পড় লাগায়। প্লিজ, বাঁচান!
কতদিন ভালো করে খাইনি। বউই সব খেয়ে নেয়। আপত্তি করলে বলে ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে!
পুরুষকুলের আর্তিতে এখন বেজায় ফাঁপরে পড়েছে মহিলা হেল্পলাইনের কর্মীরা। যত না মেয়েরা ফোন করছে, তার চেয়ে বেশি ফোন আসছে পুরুষদের! ছ'দিনেই যদি এই দশা হয়, তা হলে কী করে এই হেল্পলাইন চলবে, তা ভেবে দিশেহারা তাঁরা।
ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশ। মহিলাদের যে কোনও ধরনের সমস্যা, যেমন শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটলে ফোন করতে পারেন নির্দিষ্ট হেল্পলাইনে। গত ১৭ জুন অভিনেতা আমির খানকে দিয়ে এর উদ্বোধন করায় রাজ্য সরকার। ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় জয়প্রকাশ হাসপাতালে খোলা হয় হেল্পলাইনটি। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যে কোনও বয়সের মেয়েরা রাজ্যের যে কোনও জায়গা থেকে এখানে ফোন করতে পারবেন। সঙ্গে সঙ্গে সহায়তা করবে সরকার।
কিন্তু হেল্পলাইন চালু হওয়ার পরই দেখা গেল আশ্চর্য ছবি। ভেসে আসতে লাগল পুরুষকণ্ঠ। নানাজনের নানা আর্তি। স্ত্রী পেটায়, খেতে দেয় না এমন অভিযোগও যেখানে এসেছে, তেমনই স্ত্রী দিব্যি পরকীয়া করে বেড়াচ্ছে, সেই নালিশও জানিয়েছে কেউ কেউ। কোনও পুরুষ আবার ফোনেই ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছে। সিংহভাগ লোকের একটাই কথা, প্রতিবাদ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে বউ। চাকরি বাঁচাতে, সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হচ্ছে।
হেল্পলাইন কর্মীদের বিব্রত হওয়ার পর্ব এখানেই শেষ নয়। যখন তাঁরা বিনম্রভাবে বলছেন, এটা মহিলাদের হেল্পলাইন, পুরুষদের নয়, তখন ভেউভেউ কান্নার তোড় আরও বেড়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার রেগে গিয়ে এই হেল্পলাইনের কর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করছেন। যেহেতু এই হেল্পলাইনটি মহিলাদের দ্বারাই পরিচালিত, সেহেতু কিছু 'দুষ্টু ছেলে' ফোন করে প্রেম নিবেদন করছে, এমন উদাহরণও আছে।
ঘটনার বহর শুনে গম্ভীর মধ্যপ্রদেশ সরকারের আমলারা। তা হলে, এখনই কি পুরুষ হেল্পলাইন চালু করবেন? প্রশ্ন শুনে আমসি মুখে তাঁদের জবাব, "নাহ্, এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।"