এবার মহিলারাও গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় অপরাধী হলে জেল খাটবে : সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি, ৮ অক্টোবর : গত সেপ্টেম্বরে গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে এক অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েছে, শুধু বাড়ির স্ত্রী-রাই নন, এবার থেকে বাড়ি বাকী মহিলারাও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে আইনের দ্বারস্থ হতে পারবেন। এই রায়ের পরে আর এক অনন্য নির্দেশ শোনাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। [শুধু পুত্রবধূই নন, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতে পারবেন মা-বোনেরাও]
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় শুধু পুরুষরাই নন, মহিলারাও সমানভাবে শাস্তি পাবে। গার্হস্থ্য হিংসা রোধে মহিলাদের বাঁচানোর জন্য যে আইন রয়েছে সেই মোতাবেকই শাস্তি শোনানো হবে মহিলাদের ক্ষেত্রেও। [নির্ভয়া কাণ্ড : 'পুরো ঘটনাই পরিকল্পনা করেছিল নির্ভয়ার প্রেমিক'!]
এর আগে যে রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে সব মহিলারাই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে আইনের দ্বারস্থ হতে পারবেন। তা অনুযায়ী বাড়ির মা বা বোন অর্থাৎ শাশুড়ি অথবা জা পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অর্থাৎ বিয়ে হয়ে অন্যের বাড়িতে যাওয়া মেয়েদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনতে পারবেন না। [পানশালায় নর্তকীদের ছুঁলেই হতে পারে ছয় মাসের কারাদণ্ড!]
২০০৫ সালের গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত আইন মেনেই সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারও সেই আইনেরই 2 (Q) ধারা অনুযায়ী নতুন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। [স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর]
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ এবং রোহিনটন এফ নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আইনের আসল উদ্দেশ্য এমন করে সাধিত হচ্ছে না। আসল অপরাধী যে সে সবসময় শাস্তি পাচ্ছে না। কারণ মহিলারাও এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।
অনেক সময়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পুরুষরা এক মহিলার বিরুদ্ধে অন্য মহিলাকে এগিয়ে দিতে পারে। ফলে তাতে তার কার্যসিদ্ধিও হয় এবং হামলাকারী মহিলাও আইনের হাত থেকে বেঁচে যায়। তাই এতে আইনের আসল উদ্দেশ্য সিদ্ধি হচ্ছে না।
২০১৪ সালে বম্বে হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তাতে আবেদন করা হয়, মহিলাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করার আইন করা হোক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।