বাড়ি ফিরেও নেই নিস্তার! শবরীমালায় প্রবেশের অপরাধ, আত্মীয়দের হাতেই পেলেন 'চরমপন্থী' সাজা
আত্মীয়দের হাতেই আক্রান্ত হলেন শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করা মহিলা, কণক দুর্গা। বর্তমানে তিনি মলপ্পুরাম জেলার এক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বয়স থাকা প্রথম মহিলা হিসেবে শবরীমালা মন্দিরে পা রেখেছিলেন কণক দুর্গা ও বিন্দু আম্মিনি। সোমবার নিজের বাড়িতে ফেরার পর কণককে আক্রান্ত হতে হল পরিবারের সদস্যদের হাতেই। জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় আঘাত করেন তাঁর শাশুড়ি। আপাতত তাঁকে মলপ্পুরম জেলার পেরিনথালমান্নার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে তাঁর পরিবার যে কণকের পাশে নেই সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। গত ২ জানুয়ারি কণকের স্বামী থানায় তিনি নিখোঁজ বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের খবর জানার পর স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কণকের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না।
তার আগে সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত ৩৯ বছরের কণক ও কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ক লেকচারার, ৪০ বছরের বিন্দু আম্মিনি সকলের অগোচরে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন। যাক জেরে চরমপন্থীরা তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। কেরলে একদিনের ঘর্মঘটও ডাকা হয়। এই নিয়ে এখনও উত্তপ্ত দক্ষিণের রাজ্যটি।
চরমপন্থীদের হুমকির মুখে গত কয়েকদিন আত্মগোপন করেছিলেন এই দুই মহিলা। সোমবারই আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হলে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু দেখা গেল, বাড়িতেও সেই চরমপন্থী মনোভাবের মুখেই পড়তে হল তাঁদের। রজঃশীলা মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকার দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করার পর থেকেই এই বিষয় নিয়ে উত্তেজনা জারি রয়েছে কেরলে।