ওড়িশায় ডাইনি সন্দেহে প্রৌঢ়াকে বিবস্ত্র করে মারধর, অত্যাচার চলল ১২ ঘন্টা
সুশান্ত হাঁসদা নামে ১৮ বছরের এক যুবককে চিকিৎসার জন্য রাইরঙ্গপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ২৩ জুলাই। কিন্তু চিকিৎসকরা জানায় সুশান্তর মারা গিয়েছে। সেই ঘটনায় ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধাকে ডাইনি সন্দেহে প্রথমে প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাঁকে। তারপর তাকে বিবস্ত্র করে কিছুটা পথ হাঁটানো হয়। তারপরে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে নগ্ন অবস্থাতেই প্রায় ১২ ঘন্টা বেঁধে রাখা হয় তাঁকে। এরপর পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে।
কেন ওই বৃদ্ধাকে সন্দেহ করা হল তার বিবরণ দিতে গিয়ে গ্রামবাসীরা জানান, সুশান্তর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ তাঁর হাতে নড়ে ওঠে। হৃদযন্ত্রও চলচে শুরু করে। ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে ওঝার সাহায্য় চায় পরিবার সদস্যরা। এক ওঝা জানান, তিনি সুশান্তর জীবন ফিরিয়ে আনতে পারবেন। ওঝা সুশান্তর চিকিৎসা শুরু করতেই, অভিযুক্ত মহিলা সেখান থেকে চলে যেতে যায়। তখনই গ্রামবাসীরা ওই মহিলাকে ধরে ফেলে।
এর পরই অভিযোগ তোলা হয় ওই মহিলা ডাইনি। সুশান্তকে এই ডাইনিই মেরেছে। এখন ওঝা ঝাড়ফুক করায় ভয় পেয়ে পালাচ্ছিল ওই বৃদ্ধা। এরপরেই শুরু হয় তাঁর উপর অকথ্য় অত্যাচার। বৃদ্ধার বয়সের পরোয়া না করেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে সারা গায়ের বিভিন্ন জায়গায় এমনকী চোখের পাশেও কালশিটে পড়ে গিয়েছে ওই প্রৌঢ়ার। এরপরই সারা গ্রামের সামনে তাঁকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় খানিকটা পথ।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে এলে প্রথমে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। আপাতত একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধা। পরিস্থিতি সামাল গিতে জোড়াপোখাপাতে সশস্ত্র পুলিশের একটি বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।