টাকা শোধ করতে অক্ষম, বধূকে ধর্ষণ করল ভাশুর
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১২ সালের মাঝামাঝি ৩৭ বছর বয়সী ওই মহিলা রোগে কাবু হয়ে পড়েছিলেন। তখন ডাক্তাররা তাঁকে অপারেশন করানোর কথা বলেন। ওই মহিলার ভাশুর যেচে টাকা ধার দেয়। এর পর চিকিৎসাও হয়। কিন্তু তিনি ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে মহিলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুর্ব্যবহার শুরু করে। এর পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে কেউ না থাকলে ভাশুর এসে মহিলার শরীরের নানা জায়গায় হাত দিতেন বলে অভিযোগ। বলা হয়, এ কথা পরিবারের কাউকে জানালে বদনাম দিয়ে বাড়ি থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
তিন দিন আগে কমলেশ জৈন নামে ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট মহিলাকে নিয়ে বের হন। কিছু সাংসারিক জিনিসপত্র কিনতে হবে, এ কথা বলে মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক ঘোরার পর সে একটি লজে নিয়ে গিয়ে তোলে ওই মহিলাকে। তার পর তাঁকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। ভ্রাতৃবধূ চিৎকার করতে থাকায় তাঁরই পরনের শাড়ি খুলে মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। ওই মহিলার নগ্ন ছবি মোবাইল ফোনে তুলে রাখে অভিযুক্ত। বলা হয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
বাড়ির ফিরে মহিলা অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলে বাকিদের সন্দেহ হয়। সবাই চেপে ধরতে তিনি ভাশুরের কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেন। হাওয়া খারাপ দেখে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।