স্ত্রীকে জনসমক্ষে বেঁধে মারধর, এমনই নির্দেশ দিল এই পঞ্চায়েত, কোন কারণে অত্যাচার জানেন
বুলন্দশহর এলাকার লাউঙ্গা গ্রামে ২০ বছর বয়সী এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধরের খবর উঠে এল। ঘটনার জেরে, গ্রেফতার করা হয় মহিলার স্বামী , পাঞ্চায়েত প্রধান আর তার ছেলেকেও।
গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে স্ত্রীকে । আর চলছে অকথ্য অত্যাচার। মহিলার সারা গায়ে দাগ ফেলে দিয়েছে ছড়ির ঘা। তবুও পরীক্ষা চলছে মহিলার সহ্য ক্ষমতার। আর্ত চিৎকারে ফেটে পড়ছেন মহিলা। আর তাঁকে মেরে চলেছে একজন 'পুরুষ'! সম্পর্কে এই পুরুষ ওই মহিলার স্বামী। এই বর্ণিত দৃশ্য উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর এলাকার।
[আরও পড়ুন:অসুস্থ সনিয়া গান্ধী, গভীর রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে]
বুলন্দশহর এলাকার লাউঙ্গা গ্রামে ২০ বছর বয়সী এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধরের খবর উঠে এল। স্ত্রীকে একাধারে মারধর করে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কখনও ছড়ি কখনও বেল্টের আঘাত সপাটে গিয়ে পড়েছে ওই ২০ বছরের যুবতীয় দেহে। আর তা নীরব অস্তিত্ব নিয়ে দেখে চলেন আশপাশে দাঁড়ানো এলাকাবাসীরা। উল্লেখ্য, মহিলাকে মারধরের নির্দেশটি এসেছে এই গ্রামেরই পঞ্চায়েতের তরফে। জানা গিয়েছে, স্বামীকে ছেড়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। আর সেই কারণেই তাঁকে এভাবে মারধর করার নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত।
এই ঘটনার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আর তা হতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় যোগীপ্রশাসন। ঘটনার জেরে, গ্রেফতার করা হয় মহিলার স্বামী , পাঞ্চায়েত প্রধান আর তার ছেলেকেও। ১৮ জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ১০ মার্চের ওই মারধরের ঘটনার কথা মহিলাকে বাইরে জানাতে বারণও করে পঞ্চায়েত। এ নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মহিলাকে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ রয়েছ। তবে ভিডিও ফুটেজ বাইরে আসাতেই ফাঁস হয় পঞ্চায়েতের এই নির্মম নির্দেশের খবর।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার শহিদদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ দেবে কেন্দ্র]