মহিলা সহকর্মীকে পানীয় ‘অফার’ পুলিশ অফিসারের, ধর্ষণের পরের ঘটনা আরও রোমহর্ষক
রক্ষকই যখন ভক্ষক। মহিলা অধস্তন কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন জুনিয়র এক মহিলা পুলিশকর্মী।
রক্ষকই যখন ভক্ষক। মহিলা অধস্তন কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। মুম্বই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন জুনিয়র এক মহিলা পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর অমিত সোলারের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। মুম্বই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের কর্মরত অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার।
অভিযোগ, গত মার্চে তিনি তাঁরই দফতরে কর্মরত এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে ধর্ষণ করেন। একই থানায় তাঁরা কাজ করতেন। ২০১০ সাল থেকে তাঁরা একে অপরকে চিনতেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পেশাগত জায়গায় ভালোই সম্পর্ক ছিল উভয়ের। বর্তমানে উভয়ের সম্পর্ক তিক্ততায় ভরা।
অভিযোগ, ঘটনার দিন ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে নরম পানীয় অফার করেছিলেন অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর। সিনিয়রের অফার ফেরাতে পারেননি মহিলা কর্মী। কিন্তু তারপরই তিনি বেসামাল হয়ে পড়েন। পানীয়তে কিছ মেশানো ছিল বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, সংজ্ঞা হারানোর পর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। সেই ভিডিও তোলা হয় বলেও অভিযোগ মহিলার।
মহিলা কর্মী লিখিত অভিযোগে জানান, এরপর থেকেই তাঁকে এই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হত। ধর্ষণের সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাঁকে। এরপর ওই ছবি ফাঁসের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও জানান তিনি। নিয়মিত চাঁর উপর নির্যাতন চালানো হত। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পুলিশের ভূমিকায় পুলিশের মুখ পুড়েছে। পুলিশ এই ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।