মেঘালয়: শ্লীলতাহানির পর সন্তানের চোখের সামনে মায়ের মাথা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা
বাড়ির সামনের রাস্তায়, এক মহিলাকে উত্যক্ত ও বিরক্ত করার চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা চালায় তাঁরা। কিন্তু ওই মহিলার প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছিয়ে যেতে হয় দুষ্কৃতীদের। আর সেই প্রতিবাদেরই খেসারত ওই মহিলাকে দিল হল প্রাণ দিয়ে। শুধু মৃত্যু নয় নৃশংস সমাপ্তি। এই ঘটনার পরের দিন বাড়িতে ঢুকে সন্তানদের চোখের সামনে ওই মহিলার মাথা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সয়ংক্রিয় বন্দুকের গুলিতে উড়িয়ে দেওয়া হল। মেঘালয়ার দক্ষিণ গারো পার্বত্য এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
মেঘালয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার বয়স ৩৫-এর কাছাকাছি। ৫ সন্তান রয়েছে। দুষ্কৃতীরা ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামী ও সন্তানদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। যে ঘরে আটকে রাখা হয় সে ঘর থেকে গোটা ঘটনাটিরই সাক্ষী ছিলেন ৬ জনে। প্রথমে ওই মহিলাকে প্রচন্ড প্রহার করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। পেটে বুকে বারবার লাথি মারা হয়। ঘুঁষি মারা হয় মুখেও। আগের দিন শ্লীলতাহানির চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও, পরের দিন সে সাধ মিটিয়ে নেন দুষ্কৃতীরা। সন্তানদের চোখের সামনে মার উপর চরম পাশবিক অত্যাচার চালায় তাঁরা। এর পর মুখে হাসি নিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬টি গুলি করে মাথা ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই মহিলার।
এই ঘটনায় অভিযুক্তরা গারো ন্যাশনাল লিবারেশ ফ্রন্টের সদস্য। যে পোশাককে ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর উর্দি বলে ঘোষণা করেছিল, তাদের পরণে সেই উর্দিই ছিল। খুন, রাহাজানি, অরহরণের মতো একাধিক অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত এই সংগঠন। মেঘালয়ের গারো পার্বত্য এলাকার ৩টি জেলাতেই এই সংগঠন সক্রিয়।
এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই মহিলার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।