নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলেন মহিলা
নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির নির্দেশ যে কোনও প্রভাব ফেলেনি। হাথরাস থেকে শুরু করে নদীয়ার ধর্ষণের ঘটনা। তার পরেই প্রত্যেক দিনই এমনই কিছু না কিছু ঘটনা ঘটেই চলেছে যা বলে দিচ্ছে দেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজ্য নয় সর্বত্রই কম বেশি এই ঘটনা ঘটছে।

সমস্যা যে মনোবৃত্তিতে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে অদ্ভুত এবং অবাক করা ধর্ষণের ঘটনার খবর আসে বেশি করে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য থেকে। যেমন সদ্য যে ধর্ষণের ঘটনার খবর মিলেছে তা যে কাউকে অবাক করবে। জানা গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী।
না , যেখানে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন সেখানে এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন তার উপর চড়াও হয় এবং চলে শারীরিক নির্যাতন। বছর আঠেরোর ওই যুবতীর অভিযোগ এমনটাই যে তাঁকে রাস্তায় কার্যত অপরহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
১৮ বছর বয়সী যুবতী অভিযোগ করেছেন যে তিনি যখন তার বিয়ের আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন তখন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং ঝাঁসি জেলায় তিনজন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে। যুবতীর আরও অভিযোগ করেছে যে অভিযুক্তরা তাকে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার কাছে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে মধ্যপ্রদেশের পার্শ্ববর্তী দাতিয়া জেলার একটি গ্রামে অন্য কারও সাথে থাকতে বাধ্য করে, পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে।
পুলিশের কাছে করা অভিযোগ অনুযায়ী, মহিলার অভিযোগ, ২১ এপ্রিল তার বিয়ে ছিল। তার জন্য সে কার্ড বিতরণ করতে যাওয়ার সময় ১৮ এপ্রিল গ্রামের তিন যুবক তাকে অপহরণ করে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তারা তাকে কয়েক দিনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় রেখেছিল এবং তারপরে তাকে একজন নেতার কাছে হস্তান্তর করেছিল যিনি তাকে আরও কয়েক দিন ঝাঁসিতে রেখেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য কারও সহবাস করার জন্য মধ্যপ্রদেশের দাতিয়ার একটি গ্রামে পাঠানো হয়েছিল।
তিনি কোনওভাবে দাতিয়া থেকে তার বাবাকে ডেকে আনতে সক্ষম হন, তারপরে পুলিশের সহায়তায় পাথারি গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তেহরাউলি সার্কেল অফিসার (সিও) অনুজ সিং বলেছেন যে মহিলার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু লোককে অপহরণ, ধর্ষণ এবং বিক্রি করার অভিযোগে তার, প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।