পুত্র সন্তান পেটে ধরতে পারেননি, স্বামীর কাছে তিন তালাক পেলেন মহিলা
দরিয়াপুরের বাসিন্দা পোখরাজবানো শাহনওয়াজ শেখকে তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর স্বামী। কারণ নিজের গর্ভে কোনও পুরুষ সন্তান ধারণ করতে পারেননি পোখরাজবানো।
আহমেদাবাদ, ২৩ মার্চ : দরিয়াপুরের বাসিন্দা পোখরাজবানো শাহনওয়াজ শেখকে তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর স্বামী। কারণ নিজের গর্ভে কোনও পুরুষ সন্তান ধারণ করতে পারেননি পোখরাজবানো।
যখন পোখরাজবানো গর্ভবতী ছিলেন, তাঁর স্বামী শাহনওয়াজ শেখ তাঁকে ভদোদরার কোঠারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসার নামে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়। এবং তারপর গর্ভপাত করানো হয়।
গত সোমবার দরিয়াপুর পুলিশ স্টেশনে এই মর্মে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভদোদরার বাসিন্দা শাহনওয়াজ তাঁর স্ত্রীকে ঠকিয়েছেন ও জোর করে গর্ভপাত করিয়েছেন এই মর্মে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পোখরাজবানোর তিনটি ফুটফুটে মেয়ে রয়েছে। তাদের নাম থুশবু, সমীহা ও জেবা। তিনজনের বয়স যথাক্রমে ১৬, ১২ ও ৮ বছর। ২০১৫ সালে চতুর্থবারের জন্য পোখরাজবানো গর্ভবতী হন। এরপরই এই কাণ্ড ঘটানো হয়।
মহিলার অভিযোগ, দ্বিতীয় মেয়ে সন্তান হওয়ার পর থেকেই শাহনওয়াজ পোখরাজবানোকে প্রচণ্ড মারধর করতেন। কেন তাঁর গর্ভে পুত্র সন্তান আসেনি, এটাই ছিল একমাত্র অপরাধ। এরপরে চতুর্থ সন্তানের গর্ভপাত করানোর পরে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিল তালাক দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হয়।
পোখরাজবানোর বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তা সত্ত্বেও পয়সার অভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। আত্মীয়রা টাকা পয়সা জুগিয়ে পরে তিন মেয়ের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে।