মুসলমান বলে মাথা গোঁজার ঠাই জুটল না এক যুবতীর
মুম্বই, ২৭ এপ্রিল : মুসলিম যুবকের পর এবার এক মুসলিম যুবতী ধর্মের কারণে বৈষম্যের শিকার হলেন।
মুম্বইয়ের ওয়াডালায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। মিসবা কোয়াদ্রী নামে বছর ২৫-এর এক যুবতী সেখানকার একটি আবাসনে ভাড়া যান। ফ্ল্যাটের দালাল তাঁকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছিল নাম-পরিচয় না জানাতে। কারণ ওই আবাসন মুসলমানদের ঠাঁই দেয় না।
মিসবা সেখানে থাকা শুরু করার সপ্তাহখানেক গড়াতে না গড়াতেই সেখান থেকে মিসবাদের উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। ফলে বাধ্য হয়েই তাঁদের বেরিয়ে আসতে হয়েছে। শুধুমাত্র ধর্মের বৈষম্যের কারণেই তাঁর সঙ্গে এহেন আচরণ বলে দাবি করেছেন মিসবা।
তাঁর অভিযোগ, মুসলিম হওয়ায় বহু দালাল তাঁকে এমনকী ফ্ল্যাটও দেখাতে চায়নি। তাঁর সঙ্গে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে মিসবা যাতে কাউকে দায়ী না করতে পারেন, তার জন্য এই দালাল তাঁর কাছে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' চায়। তা দিতে অনিচ্ছুক মিসবা বেরিয়ে এসেছেন ফ্ল্যাট ছেড়ে।
এব্যাপারে আবাসনের সুপারভাইজার সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁদের আবাসনে মুসলমানরা থাকতে দেওয়া হয়।
যদিও তাতে বিতর্ক থামছে না। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্য়েই পিটিশন দাখিল করা করেছে এই বিষয়ে।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে জিশান আলি খান নামে এক এমবিএ গ্র্যাজুয়েটকেও সবরকম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি চাকরি দেয়নি। কারণ সে মুসলমান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিনের ঘটনা প্রমাণ করল ধর্মীয় সম্প্রীতির অন্ধকারের চিত্রটা।