ধর্ষণের পর ফের ধর্ষণের চেষ্টা, মেসোমশাইয়ের পুরুষাঙ্গ কাটল তরুণী
সূত্রের খবর, গত পয়লা জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই তরুণী। তার মা মেয়েটিকে পাঠিয়ে দেয় নিজের বোনের স্বামী অর্থাৎ মেসোমশাইয়ের কাছে। লোকটি তন্ত্রসাধনা করত। তাই লোকজনের ধারণা ছিল, সে অসাধ্য সাধন করতে পারে। মহেন্দ্র মেহতা নামে ওই ব্যক্তি তরুণীকে দেখে বলে, ভূতে নাকি ভর করেছে। লোকচক্ষুর আড়ালে নিয়ে গিয়ে ঝাড়ফুঁক করতে হবে। এর পর একটি নির্জন ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
যৌন নিগ্রহের কারণে মেয়েটি পরের দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। যদিও বাড়িতে কাউকে কিছু বলেনি। এদিকে, তার ধর্ষক মেসোমশাই ফোন করে জানায়, ভূত এখনও পুরোপুরি ছাড়েনি! আর এক দফা ঝাড়ফুঁক করতে হবে। মা-ও জবরদস্তি করতে থাকায় মেয়েটি ফের ধর্ষকের কাছে যেতে মনস্থির করে! কিন্তু সঙ্গে নিয়ে নেয় একটি ধারালো ছুরি। মেসোর ঘরে যেতেই সে নগ্ন অবস্থায় মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখনই ওই তরুণী সুযোগ বুঝে ধারালো ছুরি দিয়ে সোজা পুরুষাঙ্গে কোপ বসিয়ে দেয়। শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায় পুরুষাঙ্গটি। রক্তাক্ত ছুরি হাতে সে পালিয়ে আসে বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়ে মাকে জানায় সব কথা। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও বিষয়টি তারা টাকা-পয়সা দিয়ে মিটিয়ে নিতে বলে। ৩০ জুলাই খবরটি পান এক স্থানীয় সাংবাদিক। এর পরই তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যমে খবরটি জানাজানি হওয়ার পর কয়েকজন রাজনীতিক নেতার হস্তক্ষেপে পুলিশ এফআইআর রুজু করে। পাড়ার লোকের বক্তব্য, এক্ষেত্রে মেয়েটির কোনও দোষ নেই। ধর্ষণ থেকে বাঁচতেই সে এই পথ বেছে নিয়েছে। তার জখম মেসোমশাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।