মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা! বাবাকে খুন করে কুয়োর ফেলল পরিবার
ধর্ষণের চেষ্টা করায় বাবাকে খুনের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের বিশ্বনাথ জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ ফুট গভীর কুয়ো থেকে ৭১ বছর বয়সীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধর্ষণের চেষ্টা করায় বাবাকে খুনের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের বিশ্বনাথ জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ ফুট গভীর কুয়ো থেকে ৭১ বছর বয়সীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে, এমএ-র ছাত্রী ২৫ বছর বয়সী ওই মহিলা ও তার পরিবারের চারজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিলার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে খুনের অভিযোগ। অন্যদিকে, মা-সহ পরিবারের বাকি চার সদস্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩ মার্চ রাত এগারোটা নাগাদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়। বাধা দেওয়ায় তিনি কুড়ুল বের করেন বলে অভিযোগ। এই সময় সেই অস্ত্র দিয়েই বাবাকে হত্যা করেন ওই মহিলা।
পরে, মা ও বড় ভাই বাড়ির অন্য একটি ঘরে দেহটি লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেন বলে জানা গিয়েছে। পরের দিন সকালে দুই বোনও সঙ্গে যোগ দেয়। দাবি পুলিশের।
পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি লুকোতে দেহটি তিন দিনের জন্য একটি প্লাসটিকের ব্যাগে রেখে দেয়। কুয়ো খোঁড়ার পর ৭ মার্চ দেহটিকে কুয়োয় ফেলা হয়।
১১ মে পরিবারের তরফে বিশ্বনাথ চাড়িয়ালি থানায় বৃদ্ধের নিখোঁজের ডায়েরি করার পর থেকে ঘটনাটি সামনে আসে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট হতে পারেনি পুলিশ। জানিয়েছেন পুলিশ সুপার দিগন্তকুমার চৌধুরী।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পরিবারের তরফে বাড়ির পিছনের দিকে একটি কুয়ো খোঁড়া হয়েছিল। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয় বৃদ্ধের মেয়ে।
পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, বৃদ্ধ তাঁর কন্যাকে যৌন নিগ্রহ করতেন।
তবে, ভিন্ন দিক থেকে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।