ইভিএম বিভ্রাট ছাড়া গুজরাটের প্রথম দফা নির্বিঘ্ন, ভোট পড়ল ৬৮ শতাংশ
ইভিএম বিভ্রাট ছাড়া অন্য কোনও অভিযোগ নেই। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইভিএম সমস্যা দেখা দেয় বেশ কয়েকটি বুথে।
বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোল ছাড়া নির্বিঘ্নেই শেষ হল গুজরাটের প্রথম দফার ভোট। শুক্রবার প্রথম দফায় প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। মোট ১৯টি জেলার ৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ৯৭৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হল এদিন। প্রথম দফার ভোটই জানিয়ে দিল দ্বিতীয় দফার লড়াই আরও কঠিন হতে চলেছে। তবে লড়াই থাকলেও শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই রাজ্য।
ইভিএম বিভ্রাট ছাড়া অন্য কোনও অভিযোগ নেই। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইভিএম সমস্যা দেখা দেয় বেশ কয়েকটি বুথে। উত্তরপ্রদেশের মতোই গুজরাটেও তাই বিরোধীরা ইভিএম নিয়ে সরব হয় এদিন। তবে বড় কোনও হিংসাশ্রয়ী ঘটনা ঘটেনি মোদীর রাজ্যের বিধানসভা ভোটে। এদিন যে মোট ৮৯টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হল, তার মধ্যে ৬৭টি কেন্দ্র ছিল বিজেপির দখলে। কংগ্রেস পেয়েছিল ১৬টি। বাকি ছটি আসন নির্দল প্রার্থীদের দখলে।
মূলত বিজেপি-গড়েই এদিন ভোট হল। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলী, জিএসটি, নোট বাতিলের জেরে বিজেপি এখন যথেষ্ট চাপে। তারপর প্যাটেল আন্দোলন বা পাতিদার ভোট কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে। তাই কংগ্রেস যদি বিজেপির এই গড়ে থাবা বসায়, তাহলে বিজেপি চাপে পড়তে বাধ্য।
এদিনের নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি এবং অপেক্ষাকৃত কম ভোট পড়া বিজেপির পক্ষে আশঙ্কার বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই দ্বিতীয় দফায় লড়াই আরও জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। বাকি ৯৩টি আসনে ১৪ ডিসেম্বর ভোটের দিকেই এবার নজর সবার। তারপর ফল প্রকাশ ১৮ ডিসেম্বর।
এদিন মোট ২ কোটি ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ভোটার ৯৭৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মূলত সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের পাশাপাশি ভোট হল সুরাটের ১২ আসনেও। হীরে ও বস্ত্রশিল্পের উপর নির্ভরশীল এই এলাকায় নোটবাতিল ও জিএসটি এক সাংঘাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটাই ভয় পাচ্ছে বিজেপি।
প্রথম দফার ভোটেই মূল আকর্ষণ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। গুজরাট নির্বাচনের সবথেকে ধনী প্রার্থী কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল রাজগুরুর বিরুদ্ধে রাজকোট পশ্চিম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন বিজেপির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। হাইভোল্টেজ এই লড়াই-এর দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। কেননা বিজেপি জিতলে বিজয় রূপানিরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা।
বিজেপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস এখন থেকেই অজুহাত খুঁজতে শুরু করেছে। কেননা কংগ্রেস বুঝতে পেরে গিয়েছে এবারও জয় অধরাই থাকছে। প্রথম দফার ভোটে বিজেপি অনেক এগিয়ে থাকবে বলে দাবি বিজেপি নেতা জামাল ব্যাসের। কংগ্রেসও দাবি করেছে, প্রথম দফার ভোটের পর রাজ্যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরই বিজেপি হাড়েহাড়ে টের পাবে।