কর্নাটকের পর এবার টার্গেটে মহারাষ্ট্র! শুরু বিজেপির 'অপারেশন লোটাস'
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র আর তেমন কোনও চাপ রইল না শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকার তৈরির পিছনে দৌড়নোর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজনৈতিক খেলায় নেমে পড়েছে বিজেপি।
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র আর তেমন কোনও চাপ রইল না শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকার তৈরির পিছনে দৌড়নোর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজনৈতিক খেলায় নেমে পড়েছে সর্বোচ্চ আসন পাওয়া বিজেপি। বিধানসভায় সব থেকে বড় দল হিসেবে তারা এখন সময়কে ব্যবহার করে পরবর্তী সরকার তৈরির চেষ্টা করছে।
টার্গেট ১৪৫
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ আসনের মধ্যে ১০৫ টি আসন দখল করেছে বিজেপি। কিন্তু ক্ষমতায় ফিরতে গেলে তাঁদের পৌঁছতে হবে ১৪৫-এ। এবার তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য হাতে সময় পেয়ে গেল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ২৯ জন নির্দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিজেপি টার্গেটে অন্য দলও রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
'সরকার গঠনে সবরকমের চেষ্টা করা হবে'
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে বলেছেন, তিনি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, তাঁদের সরকার গঠনে চেষ্টা করা উচিত। তাই সরকার গঠন করতে যা যা করার তাই তাই করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নারায়ণ রানে বলেছএন, তিনিও দলকে সাহায্য করবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, সেনা কখনই কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে যেতে পারে না।
ভরসা অপারেশন লোটাসে
নেতাদের অবস্থান থেকেই পরিষ্কার যে বিজেপি মহারাষ্ট্রেও অপারেশন লোটাসের ওপরেই নির্ভর করছেন। কর্নাটকে এই অপারেশন লোটাসে ভর করেই এইচডি কুমারস্বামীর সরকারকে সরিয়ে ইয়েদুরাপ্পার সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে নির্দিষ্ট সংখ্যার পৌঁছে গিয়েছে, সেই পথই অনুসরণ করছে মহারাষ্ট্রেও।
'সেনা আর কংগ্রেস ভেঙেই সমর্থন'
এক সিনিয়র বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিবসেনা এবং কংগ্রেসকে ভাঙানোর চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও মঙ্গলবার কোর কমিটির বৈঠকের পরে বিজেপি থেকে বলা হয়েছে, তারা অপেক্ষা করা ও দেখার পক্ষপাতি। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য শিবসেনাকেই দায়ী করা হয়েছে।
শীর্ষ শিল্পপতির চেষ্টা
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি শিবসেনাকে বলেছিলেন, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাথে পৌঁছনোর ব্যবস্থা তিনি করতে পারেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।