কোভিড ভ্যাকসিনকে সঙ্গে নিয়ে দেশ নতুন বছরে পা দিতে পারে, ইঙ্গিত ডিসিজিআইয়ের
কোভিড ভ্যাকসিনকে সঙ্গে নিয়ে দেশ নতুন বছরে পা দিতে পারে, ইঙ্গিত ডিসিজিআইয়ের
দেশ প্রায় একবছর ধরে লড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ রোগের সঙ্গে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের নয়া কোভিড স্ট্রেন। দেশে বেশ কিছু ভ্যাকসিন প্রার্থীদের পরীক্ষা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে আশার কথা দেশের শীর্ষ ড্রাগ নিয়ন্ত্রক (ডিসিজিআই)। তারা জানিয়েছে, নতুন বছরেই ভারত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন পেতে পারে। ভ্যাকসিন বিকাশের পেছনে বিজ্ঞান সংক্রান্ত একটি ওয়েবনারে ড্রাগ নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে ল্যাব থেকে ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছাতে ১২ মাসেরও কম সময় লেগেছে।
নতুন বছরে নতুন খবর
ড্রাগ নিয়ন্ত্রক জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ভিজি সোমানি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমাদের হাতে নতুন বছরের জন্য কিছু আছে যার ইঙ্গিত শুধু আমি দিতে পারি।' জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশেনরে অন্তর্গত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি) ১ জানুয়ারি জরুরি-ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদনে সিলমোহর দেবে। এই তালিকায় রয়েছে ফাইজার, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া যা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। এটি এখনও পর্যন্ত উৎপাদিত তথ্য যাচাই করতে সংস্থাগুলির সঙ্গে এসইসির দ্বিতীয় বৈঠক হবে।
অনুমোদনের পদ্ধতি দ্রুত করা হচ্ছে
সোমানি জানিয়েছেন যে মহামারিকে সামনে রেখে আবেদনকারীদের অনুমোদনের পদ্ধতি দ্রুত সম্পন্ন করার কাজ করা হচ্ছে। এরই পাশে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের টেস্টের ওপর ভিত্তি করেই এই অনুমোদন দেওয়া হবে, সম্পূর্ণ তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না।
কার্যকারিতার সুরক্ষা নিয়ে আপস নয়
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপস করা যাবে না। শুধুমাত্র বিষয়টা হল নিয়ন্ত্রক আংশিক তথ্য গ্রহণ করেছে।' এই ওষুধ ক্ষেত্রে থাকা প্রতিনিধিরা ড্রাগ নিয়ন্ত্রণের এই দ্রুত অনুমোদনের বিষয়কে প্রশংসা জানিয়েছেন। ড্রাগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত উৎপাদন এবং স্টকপাইলিং লাইসেন্সগুলি সংস্থাগুলিকে একটি বিশাল প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
৭৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সিরামের
ওয়েবনারে
উপস্থিত
সিরামের
উমেশ
শালিংগাম
এ
প্রসঙ্গে
বলেন,
‘উৎপাদন
ও
স্টকপিলিং
লাইসেন্সের
সহায়তায়
এসআইআই
৭৫
কোটি
অক্সফোর্ড
অ্যাস্ট্রাজেনেকার
ভ্যাকসিন
ডোজ
প্রস্তুত
করতে
সক্ষম
হবে
এবং
জানুয়ারির
প্রথম
সপ্তাহে
আমাদের
হাতে
১০
লক্ষ
ডোজ
থাকবে।
বিশ্বের
কেউ
আমাদের
মতো
এত
সংরক্ষণ
করে
রাখার
ভাবনা
করেনি
এবং
অনুমোদন
পাওয়ার
সঙ্গে
সঙ্গে
আমরা
তা
সরবরাহ
করতে
শুরু
করে
দেব।'
২ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণের ড্রাই রান, করোনা নিধনের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হবে সব রাজ্যে