ডোজ প্রতি ২৬৫ টাকায় বিপুল পরিমাণে জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন কিনছে কেন্দ্র
ডোজ প্রতি ২৬৫ টাকায় বিপুল পরিমাণে জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন কিনছে কেন্দ্র
করোনা ছড়িয়ে পড়ার থেকে মুক্তি পেতে একমাত্র উপায় ভ্যাকসিনেশন। এদিকে, এই ভ্যাকসিনেশেনের গতি নিয়ে বহু সময়ই নানান সমালোচনার মুখে পড়েও পর পর মাইলস্টোন পার করেছে কেন্দ্র। এদিকে, দেশে ভ্যাকসিনেশনের গতি আর তরান্বিত করতে কেন্দ্রের তরফে ১ কোটি জাইডাস ক্যাডিলা ভ্য়াকসিন কেনা হবে বলে খবর। এই ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ ২৬৫ টাকা করে কিনতে চলেছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য,
এই
বছরের
শুরুর
দিকে
করোনার
দ্বিতীয়
স্রোতের
জেরে
কার্যত
গোটা
দেশ
বিধ্বস্ত
হতে
শুরু
করে।
তখনই
অক্সিজেন
বেডের
জন্য
যেমন
হাহাকার
পড়ে
যায়,
তেমনই
ভ্য়াকসিনেশনের
দিকে
তাকিয়ে
থাকেন
ভারতবাসীরা।
এই
পরিস্থিতিতে
,
কোভিশিল্ডের
দুটি
ডোজের
সময়সীমা
বাড়িয়ে
দিতেই
অনেকেই
অভিযোগ
তোলেন
যে
দেশে
ভ্যাকসিনের
যোগান
ফুরিয়ে
গিয়েছে।
এদিকে,
কয়েকদিন
আগেই
জি
২০
সামিটে
গিয়ে
নরেন্দ্র
মোদী
জানিয়েছেন
দেশ
২০২২
সালের
মধ্যে
নির্দিষ্ট
লক্ষ্যের
ভ্যাকসিন
উৎপাদন
করবে।
এই
প্রেক্ষাপটকে
সামনে
রেখেই
এদিন
কেন্দ্র
জাইডাস
ক্যাডিলার
১
কোটি
ভ্যাকসিন
ডোজ
কিনতে
চলেছে
কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত,
বিশ্বের
প্রথম
প্লাজমিড
ভ্যাকসিন
হল
জাইডাস
ক্যাডিলার
জাইসিওভি-
ডি।
এই
ভ্যাকসিন
আপাতত
ডোজ
প্রতি
২৬৫
টাকায়
কিনছে
ভারত।
তবে
কত
টাকায়
তা
বিক্রি
হবে
তা
নির্ধারণ
হয়নি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বাজারে কোন দামে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে, তা নির্দিষ্ট হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে। এই ভ্যাকসিনের একটি বড় দিক হল, সিরিঞ্জ ছাড়াই শরীরে সূঁচ না বিঁধিয়ে এই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব। যে অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে এই ভ্যাকসিনেশন দেওয়া হয়, তা হল ফার্মা জেট। 'নিডল ফ্রি' অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে এই প্রথম ভ্যাকসিনেশন সম্ভবপর হবে। এই নিডল ফ্রি অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে দেশে ভ্যাকসিনেশন পদ্ধতি সম্ভবপর হবে। বিশ্বের প্রথম প্লাজমায়েড ডিএনএ ভ্যাকসিনের জন্য যে অ্যাপ্লিকেটর প্রয়োজন তার দাম হল প্রতি ডোজে ৯৩ টাকা । এই দামে জিএসটি বাইরে রেখে তবেই দাম আপাতত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেটর ও ভ্যাকসিন মিলিয়ে দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। জাইডাস ক্যাডিলার তরফে জানানো হয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে এই চুক্তি হওয়ার ফলে খুবই খুশি। নিডল ফ্রি ভ্যাকসিনেশন হওয়ার জন্য এমন ভ্যাকসিনশনে অনেকেই খুশি হবেন, বলে তাঁদের আশা। সংস্থার আশা এমন ভ্যাকসিনেশনে অনেকেই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আগ্রহী হবেন।