এমএসপি নিয়ে হেলদোল নেই কেন্দ্রের, ৩১ জানুয়ারি বিরোধ দিবস পালন, হুমকি কৃষক সংগঠনের
৩১ জানুয়ারি বিরোধ দিবস পালন, হুমকি কৃষক সংগঠনের
তিন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এখনও কৃষক সংগঠনের আন্দোলন চলবে। কারণ নুন্যতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে যতদিন না কোনও সমাধান বের হচ্ছে ততদিন আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না কৃষক সংগঠনগুলি, যদিও কৃষক বিক্ষোভকে এখন বন্ধ রয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে ভারতীয় কিষাণ সংগঠন (বিকেইউ)।
বিকেইউ–এর পক্ষ থেকে যুধবীর সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এখনও পর্যন্ত এমএসপি নিয়ে কেন্দ্র না কোনও কমিটি গঠন করেছে না আমাদের কাছে এ বিষয় নিয়ে কোনও পন্থা জানতে চেয়েছে। কেন্দ্র সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকেও সরাইনি, যাঁর পুত্র লখিমপুর খেরির ঘটনায় যুক্ ত ছিল। সরকার যদি আমাদের দাবিগুলি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানায়, তাহলে আমরা ৩১ জানুয়ারি বিরোধ দিবস পালন করব।’ বিকেইউয়ের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন যে তিনি ২১ জানুয়ারি ৩–৪দিনের জন্য লখিমপুর খেরিতে যাবেন নিহত কৃ্যকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। টিকাইত বলেন, 'আমরা ২১ জানুয়ারি ৩–৪দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আক্রান্ত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমাদের আন্দোলন এরপর কোনদিকে যাবে তা নিয়ে কৌশল গঠন করা হবে এবং আলোচনা করা হবে।’
কৃষকদের আন্দোলন পিছিয়ে দেওয়ার কথা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সিং বলেন, 'আমাদের বিক্ষোভ ১১ ডিসেম্বরে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। আগামী ৩১ জানুয়ারি সারাদেশে সরকারের কুশপুতুল পোড়ানো হবে।’ তিনি সতর্ক করে জানান যে কৃষক সংগঠন ফের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশে আন্দোলন শুরু করবে।
'ওবিসি, তপশিলি ভোট যার, গদি তাঁর' খেলা জমে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি চিঠি দিয়ে পরতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে এমএসপি নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে এরপরই ডিসেম্বরে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা তাদের এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন বাতিল করে দেয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় গত ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়, যার পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিন কৃষি আইন বাতিল করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সিংঘু সীমান্ত সহ একাধিক সীমান্তে প্রতিবাদে বসেছিলেন কৃষকরা।