লাদাখে চুপিসাড়ে চিনের সেনার উপস্থিতি ঘিরে পাল্টা স্ট্র্যাটেজিতে ভারত!শীতকে টার্গেটে রেখে প্রস্তুতি
যে লড়াই চিন শুরু করেছে,তার শেষ দেখে ছাড়বে ভারত। অন্তত মোদী সরকারের এমন নীতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা। লাদাখ সীমান্তে চিন নিঃসাড়ে ৪০ হাজার ট্রুপ মোতায়েনের ঘটনা ঘিরে এবার তলে তলে ভারত নিজের সমরজ্জার প্রস্তুতিতে।
ভারতের মাস্টারপ্ল্যান
ভারতের পরমাণু সম্পর্কীয় যে স্ট্র্যাটেজি রয়েছে, তা সাধারণত পাকিস্তানকে ফোকাসে রেখেই এগিয়ে যায়। তবে লাদাখ পরিস্থিতি নজরে রেখে এবার সেই ফোকাস খানিকটা পাল্টে নিল ভারত। এবার চিনকে টার্গেটে রেখে ভারতের পরমাণু অস্ত্রের গতিবিধি এগিয়ে যাচ্ছে।
যুদ্ধ লম্বা চলবে!
এত সহজে যে নিজের বিস্তারবাজের নীতি থেকে চিন সরছে না, তা আগেই জানান দিয়েছে বেজিং। আর লাদাখ সীমান্তে ৪০ হাজার ট্রুপের মোতায়েন হওয়ার ঘটনা আরও বেশি করে সেই নীতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে। আর এমন প্রেক্ষাপটে, ভারত মনে করছে ভারত চিন সংঘাত নতুন মাত্রা নিতে পারে শীতকালে। ফলে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
৬০ হাজার মেট্রিক টনের রেশন সীমান্তে!
শীতকালে বরফের জেরে একাধিক রাস্তায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। আর তার ফলেই লাদাখ সীমান্ত পর্যন্ত রেশন নাও যেতে পারে। এমন ভাবনার জেরে ইতিমধ্যেই সেনার জন্য ৬০ হাজার মেট্রিক টন রেশন উপত্যকায় তুলে নেওয়া হয়েছে।
শীতকালকে নজরে রেখে সেনা মোতায়েন
শীতকালে যে রাস্তা দিয়ে চিনে ফের পদাতিক বাহিনী পাঠাতে পারে, লাদাখের সেই সমস্ত সেক্টরে ভারত সেনা মোতায়েন করতে শুরু করে দিয়েছে। সেই সময় তুষারপাতের জেরে বহু জায়গাতেই সংঘাতের ঘরানা পাল্টাতে পারে। আর তাই নিয়েই ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারত।
অন্য প্ল্যানে ভারত!
সাধারণত লেহ থেকে চণ্ডিগড়ের য়ে আকাশপথ তা ব্যবহার করেই লাদাখে সেনার জন্য খাবার পাঠানো হয়। তবে সেই আকাশপথে কয়েকটি বাধা রয়েছে। আর সেই কারেই সড়ক পথে কাশ্মীর থেকে লাদাখে একাধিক পাসের দিকে তাকিয়ে সেনা। সবমিলিয়ে শীতকালে চিন ভারত সংঘাত আরও বড় আকার নিতে পারে ভেবেই ঘর গোছাচ্ছে ভারতীয় সেনা।
বিজেপির 'মিশন বেঙ্গল'! অমিত শাহের দেওয়া বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ফিরছেন মুকুল রায়