কাশী বিশ্বনাথের আশীর্বাদে গড়ব সমৃদ্ধশালী ভারত, প্রত্যয়ী নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদী কোথা থেকে ভোটে লড়বেন, এটা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বারাণসী থেকে বরাবর ভোটে দাঁড়িয়েছেন আর এক বিজেপি হেভিওয়েট মুরলীমনোহর যোশী। তিনি এই আসন ছাড়তে চাননি। শেষ পর্যন্ত দলের প্রচণ্ড চাপে তিনি বাধ্য হন বারাণসী আসনের ওপর থেকে নিজের দাবি প্রত্যাহার করতে। তার পরই গতকাল রাতে বারাণসী আসনে ঘোষণা করা হয় নরেন্দ্র মোদীর নাম।
দলের সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই উচ্ছ্বসিত নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেছেন, "গঙ্গামাতা আর কাশী বিশ্বনাথের আশীর্বাদ নিয়ে এবার চলুন মিশন-২৭২ সফল করতে কাজ করি এবং শক্তিশালী, গতিশীল ও সমৃদ্ধশালী ভারত গড়ে তুলি।" আর একটি টুইটে লিখেছেন, "পবিত্র নগরী বারাণসী থেকে ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়ায় আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ। বারাণসী থেকে লড়া খুবই সম্মানজনক।"
আসলে বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীকে দাঁড় করানোর পিছনে বিজেপি-র একটা অঙ্ক রয়েছে। সেটা হল, সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন উত্তরপ্রদেশে। ৮০টি। প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা বলেছে, এখানে তারা অন্তত ৪০-৪২টি আসন পাবে। অতএব নরেন্দ্র মোদীর মতো 'হিন্দুত্বের পোস্টার বয়'-কে বারাণসী থেকে দাঁড় করালে এই আসন সংখ্যা অন্তত ৫০ হবে। কারণ বারাণসীর সঙ্গে হিন্দু আবেগ যেমনভাবে জড়িয়ে আছে, তাতে হিন্দি বলয়ের বিপুল হিন্দু ভোট বিজেপি-র দিকে আসবে। তাতে সরকার গড়ার প্রশ্নে সহজ জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হবে। ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশ থেকে রেকর্ড আসন পাওয়ার ফলেই কেন্দ্রে সরকার গড়তে পেরেছিল বিজেপি।
শনিবার রাতে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষিত হতেই বারাণসীর বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। রাতেই শুরু হয় শোভাযাত্রা। আবির ছড়িয়ে, পটকা ফাটিয়ে, মিষ্টি বিলি করে তাঁরা আনন্দ প্রকাশ করেন। সোমবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নরেন্দ্র মোদীর বিজয় কামনায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
(বিজেপি-র চতুর্থ প্রার্থীতালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
এ ছাড়াও দলের অন্যান্য যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা গতকাল ভোটে টিকিট পেলেন, তাঁরা হলেন: পাটনা সাহিব থেকে শত্রুঘ্ন সিনহা, অমৃতসর থেকে অরুণ জেটলি, পিলিভিত থেকে মানেকা গান্ধী, লখনউ থেকে রাজনাথ সিং, সুলতানপুর থেকে বরুণ গান্ধী, কানপুর থেকে মুরলীমনোহর যোশী, ঝাঁসি থেকে উমা ভারতী, দেওরিয়া থেকে কলরাজ মিশ্র, গাড়োয়াল থেকে ভুবনচন্দ্র খান্ডুরি, চাঁদনিচক থেকে হর্ষবর্ধন, নয়াদিল্লি থেকে মীনাক্ষী লেখি প্রমুখ।