মোদী-শাহের গড়েই বিজেপির সরকার উৎখাতের উদ্যোগ! আমন্ত্রণ উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিনকে
খোদ নরেন্দ্র মোদী- অমিত শাহের গড়েই বিজেপির সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা! অন্তত কংগ্রেসের বিধায়কের খোলাখুলি বার্তা থেকে তেমনটাই উঠে আসছে। 'ঘোড়া কেনাবেচা'র যে রীতি কর্ণাটকের রাজনৈতিক আঙিনায় দেখা গিয়েছে, সেই ঘরানাতেই এবার গুজরাতেও সরকার ফেলার বার্তা দিয়েছেন গুজরাতে কংগ্রেস নেতা ভিরজি থুম্মার।

বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রীকে 'অফার'
'১৫ জন বিজেপি বিধায়ক নিয়ে চলে আসুন। আমরা আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেব ।' এমনই বার্তা কংগ্রেস নেতা ভিরজি দিয়েছেন। ভিরজির দাবি, গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেল, যিনি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদেও রয়েছেন , তিনি খুব ভালো কাজ করছেন। তবে বিজেপি কাজ করছে না। আর তার জন্যই বিজেপির এই উপমুখ্যমন্ত্রীকে দলে টেনে আনার বার্তা দিয়েছেন ভিরজি।

কংগ্রেস নেতার বার্তায় কোন উত্তর বিজেপি নেতার
কংগ্রেস নেতার এমন বার্তা পেয়ে বিজেপি নেতা তথা গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেল বলেন, ' আমি কোথাও যেতে চাই না। কংগ্রেসের এমন দিবাস্বপ্ন দেখা উচিত নয়। .. ' কিন্তু স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে মোদী ও শাহের রাজ্য গুজরাতে কি তাহলে বিজেপির অন্তরে কোনও ভাঙন দেখা দিচ্ছে? যার খানিকটা আঁচ নীতীন প্যাটেলের ২৯ ফেব্রুয়ারির মন্তব্যে পাওয়া গিয়েছে।

মোদী-শাহ গড়ে ভাঙন পদ্ম শিবিরে!
এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারিতে একটি সভায় গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেল বলেন, 'এই সভায় আমি এসেছি মায়ের (মা উমিয়া মন্দিরের উদ্বোধনে) আশীর্বাদে। নয়তো আমি একদিকে আর বাকিরা যে আরেক দিকে , তা সকলেই জানেন।' আর গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যেই গুজরাত বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হতে থাকে।

গুজরাতে বিধানসভার রাজনৈতিক অঙ্ক কোন পথে?
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় ১০৩ জন রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। আর কংগ্রেসের ৭৩ জন। পদ্মদূর্গ গুজরাতে আর ১৫ টি আসন কংগ্রেস পেয়ে গেলেই বিজেপির শাসন সেখানে স্তব্ধ হতে পারে। আর সেদিকে নজর রেখেই কংগ্রেস নেতার এমন 'অফার'।

গুজরাত বিজেপির তরফে কোন দাবি?
গুজরাত বিজেপির তরফে দাবি, নীতীন প্যাটেলের বক্তব্যকে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিজেপির এমন বর্ষীয়ান নেতার কারোর কাছ থেকে 'পরামর্শ' এর প্রয়োজন নেই। সংগঠন গুজরাতের বুকে মজবুত বলেও দাবি করেছে বিজেপি।

ঘোড়া কেনা বেঁচা ও বিজেপি
উল্লেখ্য়, কর্ণাটক বিধানসভা বিজেপি দখল করেতই তাঁদের বিরুদ্ধে সেখানে 'ঘোরা কেনা বেচার' অভিযোগ ওঠে। সেখানে বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের একটি রিসর্টে রেখে দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁদের আস্থাভোটে নিজের দিকে টানা পর্যন্ত একাধিক অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে তোলে কংগ্রেস। একই পন্থা মধ্যপ্রদেশ বিজেপিও করছে বলে অভিযোগ তোলেন দিগ্বিজয় সিং। তাঁর দাবি মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য বিধায়কদের ২৩-১৫ কোটি টাকা অফার করছে কংগ্রেস।