অতীতের যাবতীয় তিক্ততা মুছে রাহুল গান্ধীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মুখ্য মুখ দুটো একে অপরকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছেন। রাহুলকে কখনও শাহেজাদা বলেছেন মোদী তো কখনও আবার ভাঁড় বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কথা দিয়েছিলেন বিরোধী থেকে শুরু করে আঞ্চলিক দলগুলিকেও সমান মর্যাদা দেবেন তিনি। সে কথা রাখলেন মোদী। ভিন্ন মতাদর্ষ সত্ত্বেও প্রত্যেককে আন্তরিক ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী।
গত ২০ মে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে দলের সংসদীয় বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "এখন নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের দলীয় শত্রুতা এখান পর্যন্তই রাখা উচিত। এবং সবাই একজোট হয়ে উন্নয়নের কাজে হাত লাগানো উচিত। এমটা নয় যে প্রাক্তন সরকার কোনও কাজই করেননি। কিংবা যা কাজ করেছেন সবটাই ভুল। তাদের শক্তিশালী বিষয় ও সিদ্ধান্ত গুলি আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।"
নিজের কথার সম্মান রেখে এদিন রাহুল গান্ধীর দিকে এগিয়ে যান নরেন্দ্র মোদী। রাহুল কংগ্রেসর বরিষ্ঠ নেতা মোতিলাল ভোরা এবং জয়রাম রমেশের সঙ্গে অষ্টম সারিতে বসেছিলেন। নরেন্দ্র মোদীকে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ান রাহুলও। এগিয়ে যান রাহুল। রাহুলকে এগিয়ে আসতে দেখে হাত বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীও। এরপর রাহুল হাত বাড়লে নিজের দুহাতে কংগ্রেস সহ সভাপতির হাত জড়িয়ে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। জানান উষ্ণ অভ্যর্থনাও। করমর্দনের পর শব্দ বিনিময়ও হয় দুজনের মধ্যে।
শুধু নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধীই নয়, এদিন আরও এক অপরিচিত দৃশ্য দেখল সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হল। বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেল সোনিয়া গান্ধীকেও। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা হল আদবানীর ঠিক পাশেই বসেছিলেন সোনিয়া।