লোকসভায় পেশ হল নির্বাচনী সংশোধনী বিল, কোন নতুন প্রস্তাব পেশ করলেন কিরেন রিজিজু
লোকসভায় পেশ হল নির্বাচনী সংশোধনী বিল, কোন নতুন প্রস্তাব পেশ করলেন কিরেন রিজিজু
শীতকালীন অধিবেশনে ১৬ তম দিনে েপশ করা হল নির্বাচন সংশোধনী বিল ২০২১। আধারের সঙ্গে ভোটের সংযুক্তিকরণ বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলে বলা হয়েছে ভোটার রেিস্ট্রেশনের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এবার ভোটার কার্ড বাধ্যতামূলক নাও হতে পারে ভোটদানের সঙ্গে আধার হলেই ভোট দান করতে পারবেন এমনই বাস্তবায়িত করতে চলেছে মোদী সরকার।
নির্বাচনী সংশোধনী বিল পেশ
লোকসভা অধিবেশনের ১৬ তম দিনে পেশ করা হল নির্বাচনী সংশোধনী বিল। ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তি করনের প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে। এই বিল সংসদের দুই কক্ষে পাস করাতে পারলে আধার কার্ড নিয়ে গিয়ে ভোট দিলেই হবে। আর ভোটার কার্ড নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে না। সেই সঙ্গে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ হলে নাগরিকত্ব বা পরিচয়ের প্রমান পত্র হিসেবে আধারও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে আধারের সংযুক্তিকরণ না থাকলে কোনও কোনও ভোটারের নাম বাদ পড়বে না।
আধার নিয়ে বিরোধ
মোদী সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর নাগরিকদের অভিন্ন পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ডে চালু করার কথা বলে। তারপরেই গোটা দেশে আধার পরিচয়পত্র করানো শুরু হয়। তাতে ব্যক্তির ছবি ছাড়াও থাকছে আঙুলের ছাপ। এক একটি নম্বরের ভিত্তিতে পরিচয় পত্র তৈরি করা হবে। সেই নম্বরের মধ্যেই ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য থাকবে । ধীরে ধীরে সেটা গোটা দেশে কার্যকর তরতে শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার।
আলোচনার প্রস্তাব ওয়েইসির
লোকসভা অধিবেশনে নির্বাচনী সংশোধনী বিল নিয়ে প্রথমেই আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিস দিয়েছিলেন আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি। তিনি অভিযোগ করেছেন লোকসভা এই নির্বাচনী বিল পেশ একেবারেই সংসদীয় আইনের বিরোধী। এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করার সামিল। কারণ সুপ্রিম কোর্ট ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তি করনের বিরোধিতায় আগেই রায় দিয়েছে। তারা জানিয়েছে এটা একেবারেই নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকারে আঘাত হানবে।
উত্তাল লোকসভা
এদিকে আজ শুরু থেকেই উত্তাল লোকসভার অধিবেশনে। ১২ সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে আলোচনায় ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি প্রধাব বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক বয়কট করেন তাঁরা। মাত্র ৪টি বিরোধী দলকে নিয়ে বৈঠক করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ তাঁদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে মোদী সরকার।