মাত্র ১৭০ ভোটে জয়, ২০১৭ নির্বাচনে এরা জিতেছিলেন সব থেকে কম ভোটের ফারাকে
গুজরাত ভোটে ২০১৭ সালে অন্তত ১৬টি আসনে এমন ছিল যেখানে জয়ের নির্বাচনের যে ফারাক ৩০০০-এর কম ছিল। এই যে ফারাক তা দুই দলেই ছিল অর্থাৎ বিজেপি ও কংগ্রেসে। দুই দলে সমান পরিমান ছিল এমন প্রার্থীর সংখ্যা। সাত জন এমন প্রার্থী ছিলেন যাদের জয়ের জয়ের মাত্রা হাজারের কম ছিল।
কম ফারাকে জয়
ওই ১৬ আসনের মধ্যে এমনভাবে ১০টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ৬টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। সবথেকে কম ভোটে হেরেছিলেন মাদুভাই রাউত। তিনি ভালসাদ জেলা থেকে লড়েছিলেন। লড়েছিলেন বিজেপির হয়ে। ১৭০ ভোটে হারেন কংগ্রেসের জিতুভাই চৌধুরীর কাছে। রাউত পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৮৩০ ভোট। জিতুভাই চৌধুরী ২০২০ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যান। বিজেপি থেকে টিকিটও পেয়ে যান। পরের মাসের উপনির্বাচনেও টিকিট পান।
অন্য পরিসংখ্যান
বিজেপির সি কে রালুজি কংগ্রেসের প্রবীণসিং চৌধুরীর কাছে হেরেছিলেন মাত্র ২৫৮ ভোটে। গোধরা থেকে এই লড়াই হয়েছিল। ৪০০০ ভোট পেয়েছিল নোটা। বিএসপি ও নির্দল পেয়েছিল ২০ হাজার ভোট।বিজেপি প্রার্থী ভুপেন্দ্র চুদাসামা জিতেছিলেন মাত্র ৩২৭ ভোটে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল ঘাটলোদিয়া কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন। এবারে নির্বাচনে লড়ছেন না বলে জানিয়েছে বিজেপি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি এবং সিনিয়র পার্টি নেতা ভুপেন্দ্রসিং চুদাসামা ।
গড় গুজরাত
বিজেপি
ছয়
বার
গুজরাতে
নির্বাচনে
জিতেছে।
বিজেপি
৩০
বছর
ধরে
এখানে
ক্ষমতায়
আছে।
এখানে
নির্বাচন
হবে
দুই
ধাপে।
পয়লা
ডিসেম্বর
প্রথম
ধাপে
ভোট
হবে
।
পাঁচ
ডিসেম্বর
পরের
ধাপে
ভোট
হবে
।
ফলাফল
বেরোবে
৮
ডিসেম্বর
নির্বাচনের।
সমীক্ষা কী বলছে?
এই রাজ্যে সপ্তম বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। সমীক্ষা বলছে এমনটাই। সেই অনুযায়ী তাঁরা বাংলার বাম সরকারকে ছাপিয়ে চলে যাবে। তাঁরা অনেক আগেই পিছনে ফেলেছে ত্রিপুরার মানিক সরকারকে। ২০১৭ সালে তাঁরা এখানে ৯৯টি আসনে। ২০২২ নির্বাচনে দলে অনেক সমস্যা আছে। বেশিরভাগ সমীক্ষা তারপরেও তাঁদের আসন বাড়বে বলেই জানাচ্ছে। ২৫ থেকে ৪০টি আসন তাঁদের বাড়তে পারে। ভোটের শতাংশ স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে । তাঁরা ভোট পেতে পারে ৪৬ শতাংশের উপর বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। আপ ও কংগ্রেস আবার বিজেপিকে ছোঁয়ার জায়গাতেও নেই। এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা। মনে করা হচ্ছে সেই অনুযায়ী বিজেপি গুজরাতে হাসতে খেলতে ক্ষমতায় ফিরবে। বলা যেতে পারে যে মোদী শাহ গড় এখন আরও পাঁচ বছরের জন্য সুরক্ষিতই থাকছে তাঁরা।