শেষ ভরসা মোদীই! মরু রাজ্যে বিজেপির চূড়ান্ত প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি পারবেন নিজের ক্যারিস্মায় রাজস্থানে বিজেপিকে টেনে নিয়ে যেতে। পারবেন কি রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য জয় এনে দিতে। কেননা রাজস্থানে ব্যাপকভাবে বইছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি পারবেন নিজের ক্যারিস্মায় রাজস্থানে বিজেপিকে টেনে নিয়ে যেতে। পারবেন কি রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য জয় এনে দিতে। কেননা রাজস্থানে ব্যাপকভাবে বইছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। যে তিন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, তার মধ্যে রাজস্থানেই বেশিভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে। এখন থেকে সামনের দশদিনে বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী ১০ টি বড় সভায় আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রীর ১০ সভা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সভা হতে চলেছে ২৩ নভেম্বর। রাজস্থানে ভোট হবে ৭ ডিসেম্বর। এক্ষেত্রে অনেক আগেই প্রচার যাচ্ছেন মোদী। ছত্তিশগড়ে ভোট ছিল ১২ নভেম্বর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রচারে গিয়েছিলেন ৯ নভেম্বর। রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে ১০ টি সভা করবেন বলে সূত্রের খবর।
বসুন্ধরার প্রতি ক্ষিপ্ত সাধারণ মানুষ
যদিও রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের প্রতি ক্ষিপ্ত। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সভা দিয়ে সেই সব মানুষদের কতটা শান্ত করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পারেন অমিত শাহও
২৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় যোগ দিতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও। রাজ্য আলাদা করে ১২ টি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
বিজেপির চেষ্টা
রাজ্যে বিজেপি অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে, লড়াইয়ের অভিমুখ ঘুরিয়ে ধরতে। তারা চাইছে লড়াইটা হয়ে দাঁড়াক নরেন্দ্র মোদী বনাম রাহুল গান্ধীর।
বিজেপির তরফে দলের নেতাদের টিকিট দেওযার আগে সার্ভেও করা হয়। প্রথম পর্যায়ে অর্ধেকর বেশি আসনে টিকিট দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের তত্ত্বাবধানে। আর পুরো কাজের তদারকি করেছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বর নাগাদ রাজস্থানের জন্য বিজেপির পুরো প্রার্থী তালিকাই পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানে অধিকসংখ্যক সভায় ভাষণ দেবেন। রাজ্য বিজেপির কাছে তিনিই শেষ আশা।