দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে নিয়ে দেশভাগের জল্পনা, নতুন নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে আগেই
স্তালিন জানিয়েছেন, দক্ষিণের রাজ্যগুলি নিয়ে আলাদা দেশ হলে সেই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানাবেন।
টিডিপি সাংসদ এম মুরলীমোহনের মাসখানেক পুরনো এক মন্তব্য ঘিরে কয়েকদিন ধরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, বারবার অবহেলিত হলে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি মিলে আলাদা দেশ তৈরি করবে। সেই ভাবনাকে আরও উসকে দিলেন ডিএমকে কার্যনির্বাহী সভাপতি এমকে স্তালিন।
স্তালিন জানিয়েছেন, দক্ষিণের রাজ্যগুলি নিয়ে আলাদা দেশ হলে সেই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানাবেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।
শুধু ডিএমকে নেতা স্তালিন বা টিডিপি সাংসদ মুরলীমোহনই শুধু নন, এই ধারণা মনে মনো পোষণ করেন দক্ষিণ ভারতের তাবড় নেতৃত্বই। সেই তালিকায় রয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইড়ু, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সহ অনেকেই।
তবে আলাদা রাষ্ট্র তৈরির ডিএমকে-র ইচ্ছে বহুদিনের। ১৯৪৯ সালে ডিএমকে তৈরি হয়। তখন থেকেই 'দ্রাবিড় নাড়ু' বা দক্ষিণীদের আলাদা রাষ্ট্র গড়ার ভাবনা শুরু হয়েছিল। ১৯৬২ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তা সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়।
দ্রাবিড় গোষ্ঠীর জনজাতিদের নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র তৈরির ভাবনা ডিএমকে-র বহুদিনের। যেখানে উত্তর ভারতের আর্যরা ঠাঁই পাবে না। তা নিয়ে আগেও বহু বিতর্ক হয়েছে। তামিলনাড়ুর মধ্যেই এই ভাবনাকে পুরোপুরি ছড়িয়ে দিতে পারেনি ডিএমকে। তবে নতুন করে স্তালিনের মন্তব্য যে বিতর্ককে উসকে দেবে তা বলাই বাহুল্য