মধ্যপ্রদেশের মতোই কি রাজস্থানে কংগ্রেস-দূর্গে বিজেপির গদা-ঘাত !চূড়ান্ত সতর্কতায় সোনিয়া শিবির
মধ্যপ্রদেশের মতোই কি রাজস্থানে কংগ্রেস-দূর্গে বিজেপির গদা-ঘাত !চূড়ান্ত সতর্কতায় সোনিয়া শিবির
করোনা যখন দেশে প্রবেশও করেনি তখন থেকে দেশে মধ্যপ্রদেশে সংকট শুরু হয়। মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য শিবির বিজেপিতে যোগ দিতেই কমলনাথ সরকার পড়ে যায়, ফলে মধ্যপ্রদেশে কমল (পদ্ম) ফোটে ! এবার রাজস্থানের ধু ধু মরুপ্রান্তরে পদ্ম ফোটানোর চেষ্টায় বিজেপি মরিয়া বলে ধরেই নিয়েছে কংগ্রেস।
ইগো ও কংগ্রেস
'ইগো'র লড়াই কংগ্রেসের পরতে পরতে এমনভাবে নেতাদের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে যা, বারবার বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের পোক্ত জমিকে নরম করেছে। মধ্যপ্রদেশ তার অন্যকম সাক্ষী। যেখানে বছরের পর বছর ধরে মাধব রাও ও তাঁর পুত্র জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন, সেখানে হাইকমান্ডের গাফিলতিতে জ্যোতি শিবির হাত ছেড়ে দেয় সোনিয়াদের। এবার কার্যত একই পরিস্থিতি সোনিয়া-রাহুলের সামনে। ফলে ফের একবার শক্তির লিটমাস টেস্টে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী।
সতর্ক কংগ্রেস
আরও একবার হাত কামড়াতে রাজি নয় কংগ্রেস। ফলে এবার সোনিয়া শিবির চূড়ান্ত সতর্কতায়। শনিবার থেকে রাজস্থান কংগ্রেসে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে লড়েচড়ে বসেছে সোনিয়া শিবির। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত হাত-গোষ্ঠী সতর্ক বলে খবর।
রাজস্থানের কংগ্রেসে সংঘাত শুরু কবে থেকে?
রাজস্থানে গেহলট -পাইটল দ্বন্দ্ব বহু পুরোন। ২০১৮ সালে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এই দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। দলের তরুণ শিবিরকে সুযোগ না দিয়ে কংগ্রেস অশোক গেহলটকে রাজস্থানের মসনদে বসায়। অন্যদিকে, খানিকটা ফিল্মি প্লটের মতো করেই উপমুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সচিন পাইলটকে। যে পাইলট রাজস্থান নির্বাচনে কংগ্রেসের 'হাত ' পোক্ত করতে তৃণমূলস্তরে বহু কাজ করেছিলেন। এরপর থেকেই গোঁসা শুরু!
গোপনে সচিন-বিজেপি আঁতাত!
সূত্রের দাবি, রাজস্থানের বিজেপি নেতারা গোপনে সচিন পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন। এমন অভিযোগ রয়েছে অশোক গেহলটের ক্যাম্প থেকেও। মনে করা হচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ড বারবার সচিনের বিভিন্ন দাবি দাওয়া অগ্রাহ্য করেছে, তার জেরেই সচিন কংগ্রেস নিয়ে বীতশ্রদ্ধ! ফলে ভাঙনের একটা বড়সড় পারদ রাজস্থানের রাজনীতিতে চড়ছে।
প্রশান্ত কিশোর আর মমতাকে নিয়ে ভাবছেন না! একুশের আগে 'দূরত্ব' তৈরিতে তুঙ্গে জল্পনা