অসমে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সিএএ-বিরোধী সরকার গড়ার ডাক কংগ্রেসের! দেওয়া হল কোন শর্ত
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে দেশের যে অংশ সবচেয়ে প্রথম বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে, তা হল উত্তরপূর্ব ভারত। সেখানে অসম থেকে শুরু করে মণিপুর পর্যন্ত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নাগরিকত্ব ইস্যুতে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে দেশের যে অংশ সবচেয়ে প্রথম বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে ওঠে, তা হল উত্তরপূর্ব ভারত। সেখানে অসম থেকে শুরু করে মণিপুর পর্যন্ত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নাগরিকত্ব ইস্যুতে। প্রসঙ্গত, অসম ততদিনে এনআরসি নিয়ে রীতিমতো জেরবার ছিল। এরপর তাতে সিএএ প্রসঙ্গ যোগ হতেই সেরাজ্যের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সরকার ব্যাপক কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সিএএ-বিরোধী সরকারের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
সিএএ-বিরোধী সরকার
নাগরিকত্ব ইস্যুতে কংগ্রেস এবার নয়া কায়দায় আক্রমণ করল বিজেপিকে। অসমে বিজেপির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে কটাক্ষের সুরে একটি প্রস্তাব দিয়েছে কংগ্রেস। আর সেই প্রস্তাবে রয়েছে মোদী সরকারের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী সরকার গড়ার ডাক। যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অসমে কংগ্রেস সর্বানন্দ সোনোয়ালকে দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া।
কোন শর্তে সোনোয়ালকে কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার প্রস্তাব?
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, একমাত্র যদি সোনোয়াল বিজেপি সরকারকে ছেড়ে দিয়ে অসমের বিধানসভার ৩০ জন বিধায়ক নিয়ে দলত্যাগ করেন, তাহলেই অসমে সিএএ বিরোধী সরকার গঠনে এগিয়ে আসবে কংগ্রেস। আর সেই কংগ্রেসের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সোনোয়ালকে।
অসমে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস
কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি ও তার সঙ্গী দল অসম গণপরিষদ সেরাজ্যের মানুষের কাছে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে পারেনি। বহু বিজেপি বিধায়কই ভোটের সময় অসম অ্যাকর্ড রক্ষা নিয়ে জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি। কংগ্রেস নেতা দেবব্রত সাইকিয়ার দাবি, এখন বোঝা যাচ্ছে যে, বিজেপি সেই অসম অ্যাকর্ড নিয়ে এগিয়ে যেতেই চায়না।
'অসমকে যাঁরা ভালোবাসেন বিজেপি ছাড়ুন'
এক সভায় কংগ্রেসের তরফে দেবব্রত সাইকিয়া দাবি করেন যে বিজেপি মুক্ত সরকার অসমে আনতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। তাই সর্বানন্দ সোনোয়াল সমেত যে বিজেপি নেতারা অসমকে ভালোবাসেন, তাঁদের বিজেপি ছেড়ে চলে আসার বার্তা দেন কংগ্রেস নেকা দেবব্রত সাইকিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য 'কুরুচিকর', মঠকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তৃণমূলের