
হায়দরাবাদ কি ভাগ্যনগর হতে যাচ্ছে? মোদীর 'ঘোষণা'য় তোলপাড়
বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (National Executive Committee meeting) হায়দরাবাদে। এখনও পর্যন্ত নিজামের শহরের নাম পরিবর্তন হয়নি বলেই সকলে জানেন। কিন্তু এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সারা দেশ থেকে আসা বিজেপি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের সময় তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদকে (hyderabad) ভাগ্যনগর (baghyanagar) বলে উল্লেখ করলেন। তাহলে কি হায়দরাবাদের নাম শীঘ্রই পরিবর্তন হচ্ছে, তা নিয়ে জবাব দিয়েছেন বিজেপির নেতারা।

ভাগ্যনগরেই 'এক ভারত'
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও যেসব স্বাধীন রাজ্যগুলি অবস্থান অস্পষ্ট ছিল তার মধ্যে ছিল হায়দরাবাদও। কিন্তু নাছোড় সর্দার প্যাটেল। তিনি এক ভারত স্লোগান তুলেছিলেন। ১৯৪৮ সালে হায়দরাবাদ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী এদিন সেই কথাই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভাগ্যনগরেই স্বাধীনতা সংগ্রামী সর্দার প্যাটেল এক ভারত শব্দটি তৈরি করেছিলেন।

বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে
বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে সম্প্রদায়গত বিভাজনের অভিযোগ এনেছে। তবে গেরুয়া শিবির সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিন তালাক অবলুপ্তির পরে তাদের লক্ষ্য ইউনিফর্ম সিভিল কোড। প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেছেন, হায়দরাবাদ ভাগ্যনদর যা সবার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। সর্দার প্যাটেল ঐক্যবদ্ধ ভারতের ভিত্তি রেখেছিলেন। যাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বিজেপির।

আরএসএস-এর দাবি আগে থেকেই
অনেক আগে থেকেই আরএসএস হায়দরাবাদের নাম ভাগ্যনদর করার দাবি করেছে। বর্তমানে বিজেপি নেতারা হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন করে ভাগ্যনগর করার দাবি তুলেছেন।
হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন করে কি ভাগ্যনগর রাখা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বলেছেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলেই মুখ্যমন্ত্রী সহকর্মীদের সঙ্গে বসে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে এবিষয়টি বিজেপির নির্বাচনী প্রচারেও স্থান পেয়েছে আগেই। ২০২০-তে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যাওয়া উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভোটারদের কাছে হায়দরাবাদকে ভাগ্যনগর করতে দলকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল এলাকায় দলের সম্প্রসারণ
এবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হায়দরাবাদকে। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত থেকেই পরিষ্কার দল যেসব রাজ্যে অপেক্ষাকৃত দুর্বল, সেইসব রাজ্যেই দলের সংগঠন বাড়ানোর টার্গেটনেওয়া হচ্ছে।
২০১৪-তে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবার নিয়ে চতুর্থবার দিল্লির বাইরে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসল। ২০১৫-তে বেঙ্গালুরু, ২০১৬-তে কেরল আর ২০১৭-তে ওড়িশায় জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক বসে।