কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের চক্করে দুকুলই হারালেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা!
মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রীর পদ দুইই কি হারালেন ইয়েদুরাপ্পা।
কর্ণাটকে বহুদিন পরে ফের একবার বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ২২২টি আসনের মধ্যে ১০৪টি আসনে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস মাত্র ৭৮টি ও জেডিএস ৩৮টি আসন পেয়েছে।
আর এই জেতার উপরে ভর করেই সমস্ত সমালোচনাকে পিছনে ফেলে লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ফেলেন। এবার পালা ছিল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের। তবে সেখানে ব্যর্থ হলেন তিনি
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক ফ্লোর টেস্ট লাইভ: সংখ্যার অভাব! পদত্যাগ করতে চলেছেন কি ইয়েদুরাপ্পা, নয়া জল্পনা]
এই ভোটের আগে লোকসভার সাংসদ ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে শিমোগা আসন থেকে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটে তিনি জেতেন। এবার বিধানসভায় জিতেছেন শিকারিপুরা থেকে।
আস্থা ভোটের আগে ইয়েদুরাপ্পা প্রথা মেনে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর আস্থা ভোটে বিজেপি জিততে পারবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় দুপুরের পর।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রীর পদ দুইই হারালেন ইয়েদুরাপ্পা। কারণ একজন জনপ্রতিনিধি সাংসদ ও বিধায়ক একসঙ্গে থাকতে পারেন না। তাই সাংসদ পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ থেকেও সরে গেলেন ইয়েদুরাপ্পা। আগেই খবর ছিল, বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে আস্থা ভোটে গিয়ে হারলে বিজেপির ইমেজ খারাপ হবে। তার আগেই শেষ মুহূর্তের মাপজোক বুঝে জেতার মতো বিধায়ক হাতে না থাকলে ইয়েদুরাপ্পা সরে দাঁড়াবেন। শেষ অবধি তাই হল। বিধানসভায় আবেগপ্রবণ ভাষণ দিয়ে ইয়েদুরাপ্পা সরে দাঁড়ালেন।
[আরও পড়ুন: চারদিন নিখোঁজ কংগ্রেস বিধায়কের খোঁজ মিলল বেঙ্গালুরুর হোটেলে]