রাম মন্দিরের ভূমিপুজো হচ্ছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার সুবিচারও হোক এবার
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সূচনা হতে চলেছে। ৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মানের জন্য ভূমি পুজো হবে। এই আঙ্গিকেই প্রশ্ন উঠেছে, এ বছরই কি বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় বেরোবে? বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার শুনানি অব্যাহত বিশেষ সিবিআই আদালতে। মন্দির আন্দোলনের অনেক মুখ যাঁরা অযোধ্যায় ভূমিপুজোয় অংশ নেবেন, তাঁরা ওই মামলার অভিযু্ক্ত।

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদকে কেন্দ্র করে
গত বছর, ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদকে কেন্দ্র করে দীর্ঘস্থায়ী মামলাটির অবসান ঘটান। সর্বসম্মত রায়ে প্রধানবিচারপিতর ডিভিশন বেঞ্চ হিন্দুদের পক্ষে রায় দেয় এবং নির্দেশ দেয় যে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলাটি ১৯৯২ সালের
শীর্ষ আদালত একটি মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য মামলায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের এই মামলাটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তার শিরোনামে উল্লেখ করেছিল যে, মসজিদ ধ্বংস একটি অপরাধমূলক কাজ।

২৮ বছর তদন্ত ও বিচারের পরে
২৮ বছর তদন্ত ও বিচারের পরে বিষয়টি অবশেষে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানির শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বেঁচে থাকা ৩২ আসামির মধ্যে ৩১ জন সিআরপিসির ৩১৩ ধারা অনুযায়ী তাদের চূড়ান্ত জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন। অভিযুক্ত ৩২তম জন পলাতক। ৩৫১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অভিযুক্তরা নির্দোষ বলে দাবি করেছে এবং অভিযোগ করেছে যে তাদেরকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এমন একটি মামলা যা প্রায় তিন দশক ধরে চলছে
এই মামলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের দিকে নজর দিলে বোঝা যায় কত উত্থান-পতনের মধ্যে চলেছিল তা। এমন একটি মামলা যা প্রায় তিন দশক পরে এখনও চলছে। একটি মামলায় ৪৯ আসামির মধ্যে বেশিরভাগই ইতিমধ্যে মারা গেছেন এবং এর মধ্যে ভারতীয় রাজনীতির কিছু শীর্ষ-নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ এবং কয়েকজন সংসদ সদস্যও রয়েছেন।