ভারতে দাবানলের মতো ছড়ানো ওমিক্রন সর্বোচ্চ শিখরে কখন, শেষ কখন? কী বলছেন মিচিগানের বাঙালি মহামারী বিশেষজ্ঞ
ভারতে ওই মুহূর্তে ওমিক্রনের (Omicron) গতি রোধ করা সম্ভব নয়, দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে। জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু ব্যবস্থা নিলে তা একটা সময়ে নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সময়টা ঠিক কখন, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে।
ভারতে ওই মুহূর্তে ওমিক্রনের (Omicron) গতি রোধ করা সম্ভব নয়, দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে। জানিয়েছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু ব্যবস্থা নিলে তা একটা সময়ে নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেই সময়টা ঠিক কখন, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। তবে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার (corinavirus) সব থেকে বেশি সংক্রামক ওমিক্রনের সংক্রমণ যে এখনও শিখতে পৌঁছয়নি, তা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই দেশের সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা চলছে।
আগামী ৭-১০ দিনে কমতে পারে সংক্রমিতের সংখ্যা
এক
সর্বভারতীয়
সংবাদমাধ্যমের
সঙ্গে
সাক্ষাৎকারে
মিচিগান
বিশ্ববিদ্যালয়ের
বাঙালি
বিজ্ঞানী
ও
মহামারী
বিশেষজ্ঞ
ভ্রমর
মুখোপাধ্যায়
বলেছেন,
দিল্লি,
মহারাষ্ট্র,
পশ্চিমবঙ্গের
মতো
রাজ্যে
সংক্রমণ
খুব
তাড়াতাড়ি
বেড়েছে,
প্রায়
শীর্ষেও
পৌঁছে
গিয়েছে।
আগামী
সাত
থেকে
১০
দিনের
মধ্যে
রাজ্যগুলিতে
সংক্রমণ
একটু
কমবে
বলেও
মনে
করেন
তিনি।
দিল্লির
কথা
উল্লেখ
করে
তিনি
বলেছেন,
সেখানকার
বেসিক
রিপ্রোডাকশন
নাম্বার
২
থেকে
১.৪
হয়েছে।
এছাড়াও
টেস্ট
পজিটিভিটি
রেটও
কমছে
আস্তে
আস্তে।
আগামী
সাত
দিনে
কয়েকটি
রাজ্যে
সংক্রমণ
শিখরে
গিয়ে
পৌঁছবে
বলেও
মনে
করেন
তিনি।
আর
দেশে
তা
শিখরে
পৌঁছতে
পারে
জানুয়ারির
শেষের
দিকে।
কেননা
ভারতের
অবস্থা
একটি
দেশের
মধ্যে
অনেকগুলি
দেশের
মতো,
বিবিধের
মধ্যে
ঐক্য।
সেই
কারণে
বিভিন্ন
জায়গায়
সংক্রমণ
শিখরে
পৌঁছতে
সময়সীমা
বিভিন্ন
হবে।
দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে বলেই বেশিদিন স্থায়ী নয়
ওই বিজ্ঞানী আরও বলেছেন, ওমিক্রন ভারতে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে বলেই, তা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। উচ্চ সংক্রমণজনিত কারণের জন্যই এই পরিস্থিতি। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে কতজন ভর্তি হচ্ছেন, তার ওপরে নজর দিতে হবে। মহামারী বিশেষজ্ঞ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনই হল রোগ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়। অনেক মানুষ অসুস্থ বলেও ভ্যাকসিনের কারণেই অনেক কম মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে। ভারতে দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকে তৃতীয় তরঙ্গ আলাদা এই কারণেই, সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাকৃতিক কারণে এবং টিকা দেওয়ার সঙ্গে বেড়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বেশ কিছু দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে, কারণ সেইসব দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। সাধারণ মানুষের কাছে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় তরঙ্গের সমাপ্তি
মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিশেষজ্ঞ ভ্রমর মুখোপাধ্যায় মনে করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় ঢেউ শেষ হতে যাবে। তবে এব্যাপারে সবকটি মডেলের ভবিষ্যদ্বাণী নির্ভর করে মানুষের ওপরেই, জানিয়েছেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলার মতো অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তবে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, তৃতীয় তরঙ্গ জানুয়ারিতে শিখরে পৌঁছবে আর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
দেশে সংক্রমণের শীর্ষে থাকা ৫ রাজ্য
দেশের ভিন্ন প্রান্তে থাকা ৫ রাজ্য এখন সংক্রমণের শীর্ষে। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬, ৭২৩ জন। দিল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৭, ৫৬১ জন। বাংলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২২,১৫৫ জন। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে যথাক্রমে ১৭,৯৩৪ এবং ২১,৩৯০ জন। এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ কেসের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তারপরেই রয়েছে বাংলা।
UP Election 2022: ৪৮ ঘন্টায় বিজেপি হারাল ৬ নেতাকে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার